জাতীয় ডেস্ক :
নেত্রকোনার মদনে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। কয়েকদিন ধরে একটি কু-চক্রী প্রভাবশালী মহল প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে শাহপুর গ্রামের পেছনের বয়রাহালা নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, হাঁসকুড়ি গ্রামের ওয়াহাব মিয়ার ছেলে ইমরুল দীর্ঘদিন ধরেই বয়রাহালা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে অন্যত্র বিক্রি করেছে। গত ৪ থেকে ৫ দিন ধরে শাহপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা তৌহিদ মিয়ার বাড়ির পেছনে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। সেখান থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা তৌহিদ মিয়া ৩৫ হাজার টাকার বালু ক্রয় করেছেন। ৩৫ হাজার থেকে কিছু টাকা কম দিতে চাওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা তৌহিদ মিয়াকে লাঞ্ছিত করেন ইমরুল।
স্থানীয়দের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার সকালে সরেজমিন শাহপুর গ্রামের পেছনের বয়রাহালা নদীতে গেলে দেখা যায়, ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এসময় স্থানীয়রা জানান, হাঁসকুড়ি গ্রামের ওয়াহাব মিয়ার ছেলে ইমরুল বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা তৌহিদ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ইমরুল মিয়া কয়েকদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। আমার কাছেও ৩৫ হাজার টাকার বালু বিক্রি করেছে। আমি কিছু টাকা কম দিতে চাইলে সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। আমি এর বিচার চাই।
জানতে চাইলে ড্রেজার মালিক ইমরুল মিয়া মুঠোফোনে বলেন, এলাকার কয়েকজন লোকের বালুর প্রয়োজন। তারাই আমার ড্রেজার নিয়ে বালু উত্তোলন করছে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা তৌহিদ মিয়া রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত কেন করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সে অতিরিক্ত বালু নিতে চায়। এর জন্য কিছু তর্কবিতর্ক হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমদ বলেন, ড্রেজার বসিয়ে বয়রাহানা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়েছি। শিগগিরই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।