জাতীয় ডেস্ক :
নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। শনিবার (২৬ ফেব্রয়ারি) এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন জারির পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করে সময় সংবাদ। তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করবেন বলে তিনি জানান।
কাজী হাবিবুল আউয়াল মুঠোফোনে সময় সংবাদকে বলেন, ‘সরকার একটি গুরু দায়িত্ব দিয়েছে। অনেক দ্বিধা দ্বন্দ্ব আছে, তবুও চেষ্টা করব যে দায়িত্ব দিয়েছে সেটি পুরোপুরিভাবে পালন করার। আমার সামর্থ্য অনুযায়ী সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়ার চেষ্টা করব। সবশেষে জনগণই সব দেখবে কতটা সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারলাম।’
তবে, এখনও যেহেতু শপথ গ্রহণ করেননি, তাই বেশি কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমি এখনও শপথ নেইনি। শপথ নেওয়ার পরই আমি সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনার হব। এরমধ্যে একটু বুঝে নেই আমার দায়িত্ব কী। তারপর ভালোভাবে প্রতিক্রিয়া এবং পরিকল্পনা ব্যক্ত করতে পারব।’
নির্বাচন কমিশন গঠনের তোড়জোড় শুরু হওয়ার পর থেকেই আলোচনার শীর্ষে ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক এই সিনিয়র সচিব। বিসিএস ১৯৮১ ব্যাচের এই কর্মকর্তা কর্মজীবন শুরু করেন জেলা মুনসেফ হিসেবে। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি সততা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্বপালন করেন। সিইসির দায়িত্ব পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়াল সবশেষ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন।
তার নাম প্রস্তাব করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
একজন দক্ষ, মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত বিচার বিভাগের কর্মকর্তা হাবিবুল আউয়াল আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগে সুপারনিউমারারি (স্বল্প সময়ের জন্য) সচিব ছিলেন। সেখান থেকে তাকে রাষ্ট্রপতির ১০ শতাংশ কোটায় প্রথমে ধর্মসচিব এবং পরে প্রতিরক্ষাসচিব হিসেবে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে ২০১৪ সালের ১৮ জুন তার চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়ায় সরকার।
২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার কথা ছিল হাবিবুল আউয়ালের। কিন্তু ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি পিআরএল বাতিল করে তাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে এক বছরের চুক্তিতে নিয়োগ দেয় সরকার। পরে সেই চুক্তির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়। ২০১৭ সালে অবসরে যান তিনি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল ছাড়াও চারজনকে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তারা হলেন- সাবেক সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান, সাবেক সিনিয়র সচিব আলমগীর হোসেন খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান ও সাবেক জেলা জজ রাশিদা সুলতানা।