রাজনীতি ডেস্ক:
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। আর সন্ত্রাসী দল হিসেবে আখ্যা পাওয়া বিএনপি চায় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে। কাজেই নিষেধাজ্ঞা আর ভিসানীতি কার ওপর প্রয়োগ হয় সেটাই দেখা হবে।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতাসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রের নামে ফ্যাসিবাদী তৎপরতা চালাচ্ছে বিএনপি। তারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চায়।
বিএনপিকে ফ্যাসিবাদের জ্বলন্ত প্রমাণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী বলেন, তারা এখন বলে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র, ফ্যাসিবাদী কাকে বলে। এটার পুরো চরিত্রই বিএনপির ক্ষমতার আমলকে পুরো ফুটিয়ে তোলে। ফ্যাসিবাদের জ্বলন্ত প্রমাণ বিএনপি। ফ্যাসিবাদ তারা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে শৃঙ্খল মুক্ত করে দেশকে এগিয়ে নিয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার লিভিং লিগ্যাসি হিসেবে এই জনপদ যতদিন থাকবে তার নাম প্রতিধ্বনিত হবে। এটা বোধহয় সৃষ্টিকর্তার অমর সৃষ্টি। এই দেশের সবচেয়ে বড় সৃষ্টি, বঙ্গবন্ধুর মুখ নিঃসৃত শব্দ মুক্তি আর স্বাধীনতা। স্বাধীনতার লিগ্যাসি বঙ্গবন্ধুর নামেই উচ্চারিত হবে। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম এটাও তার লিগ্যাসি, এটা বহন করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের এই লিগ্যাসি আরও পরিষ্কার হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারেক রহমানকে বলেন, সাহস থাকলে আসতে। রাজপথে ফয়সালা হোক। আদালতের রায় আছে তার বক্তৃতা কোথাও প্রকাশ করা যাবে না। প্রতিদিনই তিনি এগুলো করে যাচ্ছেন, এর কোনো বিচার নেই? ইউরোপ আমেরিকার গণতন্ত্রের নেতারা এই ফ্যাসিস্টের তৎপরতা দেখেন না। তারেকের বিষয় দেখেন না?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ।