রাজনীতি ডেস্ক:
নির্বাচনের সময় যতই সামনে আসছে রাজনৈতিক মাঠে ততটাই সক্রিয় হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক দলগুলো। দলকে নির্বাচনের জন্য যখন রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতি নিচ্ছে ঠিক তখন দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ। তাদের মধ্যে বহু দিন থেকেই এ দ্বন্দ্ব চলমান। সেই দ্বন্দ্ব এবার গড়াল নির্বাচন কমিশন বরাবর।
কার স্বাক্ষরে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে, লাঙ্গল প্রতীকের মালিক কে হবেন এবং জাপা মহাজোটের অংশ হয়ে নির্বাচন করবে কী করবে না এ নিয়ে দিনভর চলে নানা নাটকীয়তা।
জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ ঘোষণা দিয়েছেন আগামী নির্বাচনে মহাজোটের অধীনে নির্বাচন করবে তার দল। অপরদিকে নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করবে কি না সে বিষয়ে এখন সিদ্ধান্ত দেয়নি দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) জি এম কাদের ও রওশন এরশাদ ইসিতে পৃথক পৃথকভাবে চিঠি দিয়েছেন।
প্রথম চিঠিতে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়েছে- জাতীয় পার্টির ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে দলের প্রার্থী মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দ করবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না বা জোটবদ্ধ হয়ে জাতীয় পার্টি নির্বাচন করবে কি না সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি চিঠিতে।
বিষয়টি নিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হক চুন্নুর কাছে জানতে চাইলে তিনি কালবেলাকে বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাবে কি না সে বিষয়ে এখন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আগামী দু-একদিনের মধ্যেই দ্বাদশ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এদিকে একই দিন দুপুরে প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ চিঠি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনে সেখানে তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় পার্টি বিগত ৩টি জাতীয় নির্বাচনে ধারাবাহিকতায় এবারও চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দল হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এটা হবে শুধু নির্বাচনী জোট। জাতীয় পার্টির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবেন।
চিঠিতে তিনি আরও জানান, নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক লাঙ্গল কিংবা প্রার্থীর ইচ্ছানুসারে মহাজোটে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে পারবেন।