খেলাধূলা ডেস্ক :
আহা ডেভন কনওয়ে! চলতি বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরিটা কিউই এ ওপেনারের নামের পাশে লেখা থাকতে পারতো। তবে নিজের মাইলফলক পূর্ণ করতে না ডাবল সেঞ্চুরি ঠিকই হয়েছে নিউজিল্যান্ডের। এ ওপেনারের অপরাজিত ৯২ রানে ভর করে ৩ উইকেটে ২০০ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়াকে জিততে হলে করতে হবে ২০১ রান।
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে সেভাবে রান উঠেনি। তবে সুপার টোয়েলভে খেলা গড়াতেই চার ছক্কার বন্যা। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মূলপর্বের প্রথম ম্যাচে গেল বারের দুই ফাইনালিস্টের লড়াইয়ে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ওপর রীতিমতো স্টিম রোলার চালালেন কিউই ব্যাটাররা।
দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন এবং ডেভন কনওয়ে শুরু থেকেই অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ওপর চড়াও হতে থাকেন। প্রথম চার ওভারে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৬ রান। সেখান থেকে পাওয়ারপ্লে শেষে স্কোরবোর্ডে সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬৫ রান। ততক্ষণে যদিও ফিন অ্যালেনকে হারায় কিউইরা।
জস হ্যাজলউডকে তেড়েফুড়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হন ফিন। তবে প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলতে নেমেই ৫টি চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কার মারে মাত্র ১৬ বলে ৪২ রানের এক ক্যামিও ইনিংস খেলেন এ ওপেনার।
ফিন অ্যালেনের আউটের পর অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে ইনিংস এগিয়ে নেন কনওয়ে। ৫৩ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়েন তারা। মাত্র ৩৬ বলে ফিফটি পূরণ করেন কনওয়ে। তবে অন্য প্রান্তে থাকা উইলিয়ামসন এদিন পুরোটা সময়ই ছিলেন অস্বস্তিতে। শেষ পর্যন্ত অ্যাডাম জাম্পার বলে সাজঘরে ফেরার আগে করেন ২৩ বলে মাত্র ২৩ রান।
জাম্পার বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে মিস করেন। আম্পায়ার আউট দিলে পরে রিভিউ নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। উইলিয়ামসনের পর ব্যাট করতে নামা গ্লেন ফিলিপসকে থিতু হওয়ার সুযোগ দেননি জস হ্যাজলউড। ত্রিদেশীয় সিরিজে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ফিলিপস এদিন করেন ১০ বলে ১২ রান।
ডেভন কনওয়ে ৫৮ বলে ৭ চার আর ২ ছক্কায় ৯২ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। এছাড়া শেষ বলে ছক্কা মেরে দলের ২০০ পূরণ করে দেয়া জিমি নিশাম ১৩ বলে করেন সময়োপযোগী ২৬ রান।