খেলাধূলা ডেস্ক :
অঘোষিত ফাইনালে টস হেরে খেলতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছে দুর্দান্ত। এক ম্যাচ পর দলে ফেরা নাসুমের প্রথম আঘাতের পর জোড়া উইকেটের দেখা পেয়েছেন মেহেদী হাসান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৪৫ রান।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। স্বাগতিকদের শুরুটা হয়েছিল ইতিবাচক। প্রথমে আক্রমণে আসা মুস্তাফিজকে চার হাঁকিয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করেন রেজিস চাকাভা। এরপর দ্বিতীয় ওভারে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনও মেহেদী হাসানকে ছক্কা হাঁকিয়ে ঝড় তোলার আভাস দিলেন যেন। তবে বেশিক্ষণ মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারেনি তারা।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বেশ খরুচে বোলিংয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে একাদশেই ছিলেন না নাসুম আহমেদ। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আবারও আস্থা রাখা হলো তার ওপর। প্রতিদানও দিলেন হাতেনাতে। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই কাঙ্ক্ষিত ব্রেকথ্রু এনে দিলেন দলকে। তুলে মারতে গিয়েছিলেন চাকাভা, শর্ট এক্সট্রা কাভারে লাফিয়ে উঠে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন আফিফ হোসেন। চাকাভা ফিরেছেন ১০ বলে ১৭ রান করে।
নাসুমের পর জোড়া আঘাত মেহেদী হাসানেরও। আগের বলে এলবিডব্লুর জোরাল আবেদন করলেও সফল হননি, পরের বলে করলেন ইয়র্কার। সামনে এসে খেলার চেষ্টায় ব্যর্থ ওয়েসলি মাধেভেরে। ৪৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। মাধেভেরে ফিরেছেন ৮ বলে ৫ রান করে।
মাধভেরেকে আউটের পর জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান সিকান্দার রাজাকেও ফিরিয়েছেন পরের বলেই। তুলে মারতে গিয়ে ফাইন লেগে শরীফুলের হাতে ধরা পড়ার আগে রানের খাতাই খুলতে পারেননি চলতি সিরিজের সেরা এ ব্যাটার। ৪৫ রানে ১ উইকেট থেকে জিম্বাবুয়ে পরিণত হয়েছে ৪৫ রানে ৩ উইকেটে।
বাংলাদেশ একাদশ
পারভেজ হোসেন ইমন, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, এনামুল হক বিজয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদ।
জিম্বাবুয়ে একাদশ
রায়ান বার্ল, রেজিস চাকাভা, ব্র্যাডলি এভান্স, ক্রেইগ আরভিন, লুক জঙ্গুয়ে, ওয়েসলি মাধেভেরে, জন মাসারা, ভিক্টর নিয়াউচি, সিকান্দার রাজা, মিল্টন শুম্বা, শন উইলিয়ামস
