জাতীয় ডেস্ক:
নারী উদ্যোক্তাদের ঠিকানা জয়িতা টাওয়ার মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণলায়ের আওতাধীন জয়িতা ফাউন্ডেশনের অধীন টাওয়ারটিতে নারী উদ্যোক্তাদের পণ্যের আধুনিক বিপণন প্রক্রিয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রধানমন্ত্রী সকাল ১০টায় ধানমন্ডিস্থ জয়িতা টাওয়ারের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন, জয়িতা টাওয়ারে স্থাপিত জামদানি গ্যালারি ও জয়িতা মার্কেট প্লেস উদ্বোধন করবেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ‘নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের নারী উদ্যোক্তাদের জয়িতা ব্র্যান্ডের আওতায় নানামুখী ব্যবসা উদ্যোগে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিতে অত্যাধুনিক ভৌত অবকাঠামো সুবিধা সংবলিত জয়িতা টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। এ টাওয়ারে ইউনিভার্সেল এক্সেসিবিলিটিসহ দেশের নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত ও প্রক্রিয়াজাত বিভিন্ন ধরনের পণ্যের সাপ্লাই চেইন এবং সেবা বিপণনের সুবিধা বিদ্যমান থাকবে।
এ ভবনে নারী উদ্যোক্তাদের জ্ঞান, দক্ষতা, ব্যবসা ব্যবস্থাপনা ও বিকাশ কৌশল ভিত্তিক প্রশিক্ষণের জন্য ভৌত অবকাঠামোগত সুবিধাদি রাখা হয়েছে। এখানে রয়েছে পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিং সুবিধা এবং সুপরিসর লবি।
এছাড়া ভবনটিতে জয়িতা ফাউন্ডেশনের সদর দফতরও থাকবে। জয়িতা আইকনিক টাওয়ারে রয়েছে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র, ডিজাইন সেন্টার, বিউটি পার্লার, নারীদের জন্য জিমনেশিয়াম, মহিলা ও শিশুদের জন্য সুইমিং পুল, মাল্টিপারপাস হল, সেমিনার হল, ব্যাংক, ফুড-কোর্ট ও ক্যাফে। সেই সঙ্গে চালু করা হয়েছে ই-জয়িতা অনলাইন মার্কেট প্লেসও।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডির ২৭ নম্বর (পুরাতন) রোডে এক বিঘা জমির ওপর ১৬৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১২তলা বিশিষ্ট জয়িতা টাওয়ার নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর জয়িতা ফাউন্ডেশন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন। এরই মধ্যে সরকার দেশের প্রতিটি বিভাগে প্রতীকীমূল্যে ১ বিঘা করে জমি বরাদ্দ দিয়েছে। জয়িতার কার্যক্রম বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় চালুর মাধ্যমে দেশব্যাপী একটি নারীবান্ধব আলাদা বিপণন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।