হোম খুলনাবাগেরহাট নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে মোংলা বন্দরের  ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী 

নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে মোংলা বন্দরের  ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী 

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 41 ভিউজ

জসিম উদ্দিন:

দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সমুদ্রবন্দর মোংলা বন্দর প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে। একসময়ের মৃতপ্রায় বন্দরটি আজ আধুনিক ও লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ, আধুনিক অবকাঠামো ও প্রযুক্তির ব্যবহারে মোংলা বন্দর এখন সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

সকালে শান্তির প্রতীক কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহীন রহমান। এর আগে বন্দর জেটি থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে স্বাধীনতা চত্বর প্রদক্ষিণ করে ফিরে আসে।

উদ্বোধনী বক্তব্যে রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহীন রহমান বলেন,“আধুনিক কার্গো ও কনটেইনার হ্যান্ডলিং সরঞ্জাম সংযোজন, ইয়ার্ড ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিক ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই মোংলা বন্দর আজ একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। একটি সময় এই বন্দরকে মৃত বন্দর বলা হতো, কিন্তু বর্তমান সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনায় মোংলা আজ আন্তর্জাতিক মানের একটি সক্রিয় বন্দর। দেশের সামুদ্রিক বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচনে মোংলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।”

তিনি আরও বলেন,“মোংলা বন্দর শুধু বাণিজ্যের কেন্দ্র নয়, এটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু।পদ্মা সেতু চালুর পর এই বন্দরের গুরুত্ব আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা এখন স্মার্ট পোর্টের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। পরিকল্পনায় রয়েছে স্বয়ংক্রিয় কার্গো হ্যান্ডলিং, ডিজিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ও আন্তর্জাতিক শিপিং লাইনগুলোর সঙ্গে সরাসরি সংযোগ।”

তিনি জানান, আগামীতে মোংলা বন্দরে নতুন জেটি, ড্রেজিং কার্যক্রম সম্প্রসারণ, কন্টেইনার টার্মিনাল সম্প্রসারণ এবং রেল কানেক্টিভিটি চালু হলে এটি দেশের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক হাবে রূপ নেবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহ মন্ত্রণালয়সহ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

বন্দর ব্যবহারকারীরা বলেন, মোংলা বন্দরকে আরও যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের করতে হলে বঙ্গোপসাগর থেকে বন্দর জেটি পর্যন্ত ১৩১ কিলোমিটার নৌপথের নাব্যতা নিশ্চিত রাখা জরুরি। ভবিষ্যতে জাহাজ চলাচল বাড়বে, তাই চ্যানেলের ড্রেজিং কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।

বন্দরের সিনিয়র উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. মাকরুজ্জামান জানান, ১৯৫০ সালের ১ ডিসেম্বর পশুর নদীর জয়মনির ঘোলে ব্রিটিশ পতাকাবাহী ‘দি সিটি অব লিয়নস’ নামের প্রথম বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করার মধ্য দিয়ে মোংলা বন্দরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। তখন এর নাম ছিল চালনা অ্যাংকারেজ পোর্ট।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন