জাতীয় ডেস্ক :
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ঝুলন্ত অবস্থায় এক নববধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বামীর বাড়ির লোকজন ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বললেও পান্না আক্তার (১৮) নামে ওই গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) সকালে উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের শিমুহা নিহারদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পান্না আক্তার নিকলী উপজেলার ধারিশ্বর গ্রামের আবু বাক্কারের মেয়ে। স্বজনরা জানান, মাত্র দুই মাস আগে শিমুহা গ্রামের আব্দুল হেকিম চৌকিদারের ছেলে মারফত আলী মারুফের (২৩) সঙ্গে পান্নার বিয়ে হয়।
বিয়ের সময় মারুফকে মোটা অংঙ্কের যৌতুক দেয়া হয়। বিয়ের পর থেকে আরও এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন তিনি। যৌতুকের জন্য পান্নাকে মারধর করতেন মারুফ। এ নিয়ে প্রায় পারিবারিক কলহ হতো। শুক্রবার সকালে স্বামীর বাড়িতে বসতঘরের কার্নিশে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় পান্নার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। ঘটনার পর মারুফ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে পুলিশ পান্নার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। কটিয়াদী থানার ওসি এসএম শাহাদৎ হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।