নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের কালিয়ায় অপচিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে “খাদিজা সেবা ক্লিনিক” নামের এক প্রতিষ্ঠানের অপারেশন থিয়েটার সিলগালা করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
বৃহস্পতিবার(১৪ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একটি দল প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ তদন্ত করতে এসে ক্লিনিকটির বিভিন্ন অনিয়ম, নার্স ও ডিউটি ডাক্তার না থাকা, অপারেশন থিয়েটার মানসম্মত না থাকার পরিপেক্ষিতে উক্ত ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার সিলগালা করেন।
কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ শোয়াইব এর নেতৃত্বে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পার্থ প্রতিম বিশ্বাস, মেডিকেল অফিসার ডা,হাসিবুর রহমান, ডেন্টাল সার্জন ডা.সারোয়ার হোসেন, উপজেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর মইনুদ্দিন।
জানা গেছে,১৩ আগষ্ট সকালে উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামের কামাল শেখের স্ত্রী লাবনী আক্তার(১৯) প্রসব বেদনা নিয়ে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য খাদিজা সেবা ক্লিনিক এ ভর্তি হন। অপারেশনের মাধ্যমে প্রসূতি লাবনী জমজ সন্তানের জন্ম দেন।
অপারেশনের পরবর্তীতে প্রসূতি লাবনী আক্তার মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তড়িঘড়ি করে খুলনার একটি হাসপাতালে রেফার করেন ওই ক্লিনিকের পরিচালক খাদিজা পারভীন। খুলনায় নেবার আগেই লাবনীর মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেন খুলনার ঐ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
নবজাতক জমজ শিশুরা বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় খুলনা শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত লাবনী আক্তারের দেবর মোঃ আসলাম অভিযোগ করে বলেন,কোন এনেসথেসিয়া ছাড়াই অপারেশন করার কারণে আমার ভাবীর মৃত্যু হয়েছে। আমার ভাই মা-বাবা সকলেই নবজাতকের চিকিৎসার জন্য খুলনায় অবস্থান করছে,তারা বাড়িতে আসলে আইনের আশ্রয় নেয়া হবে।
এ দিকে বিষয়ে খাদিজা সেবা ক্লিনিকের পরিচালক খাদিজা পারভীনের বক্তব্য আনতে ক্লিনিকে গেলে সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণ করে স্থানীয় সাংবাদিকদের উল্টো চাদাবাজি মামলার হুমকি দেন।
প্রসূতির মৃত্যুর বিষয়ে নড়াইল জেলা সিভিল সার্জন ডা আঃ রশিদ বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সহ একটি তদন্ত টিম পাঠানো হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ক্লিনিক এর অপারেশন থিয়েটার সিলগালা করা হয়েছে।আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্য একটি তদন্ত টিম গঠন করে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য,একই ক্লিনিকে পূর্বে অপচিকিৎসার অভিযোগ রয়েছে।