হোম খুলনানড়াইল নড়াইলে শহীদদের প্রতি সর্বস্তরের জনসাধারণের  শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস

নড়াইলে শহীদদের প্রতি সর্বস্তরের জনসাধারণের  শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 72 ভিউজ

নড়াইল প্রতিনিধি:

মহান মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার ৫৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে নড়াইলে যথাযোগ্য মর্যাদা, উৎসাহউদ্দীপনা এবং ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে পুরো জেলায় ছিল উৎসবের আমেজ এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন।

এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়। এরপর জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

প্রথমে জেলা প্রশাসক . মোহাম্মদ আবদুল ছালাম এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আল মামুন সিকদারএর নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদদের বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। এর পরপরই জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সরকারিবেসরকারি দপ্তর, সামাজিকসাংস্কৃতিক সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একে একে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা, এবং দেশ জাতির অগ্রগতি, শান্তি সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ৯টা থেকে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ স্টেডিয়ামে শুরু হয় দিবসের মূল কর্মসূচি। সেখানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, পুলিশ, আনসার ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ শরীরচর্চা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। সকল কর্মসূচিতে জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন স্তরের জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।

কুচকাওয়াজ শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা প্রশাসক . মোহাম্মদ আবদুল ছালাম মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন। তিনি শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন:

​“আজ বাঙালি জাতির জীবনে এক অহংকারের দিন। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এই দিনে আমরা বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম জাতি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ৩০ লাখ শহীদ দুই লাখ সম্ভ্রমহারা মাবোনকে, যাদের আত্মত্যাগ ছাড়া এই স্বাধীনতা সম্ভব হতো না। স্বাধীনতা আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন, আর এই অর্জনকে ধরে রাখতে হলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হবে।

দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল হাসপাতাল, জেলখানা এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা, প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, এবং বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দিনভর উৎসবমুখর পরিবেশে নড়াইলে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন