হোম খুলনানড়াইল নড়াইলে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস পালিত

নড়াইলে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস পালিত

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 47 ভিউজ

মোস্তফা কামাল:
​”নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হই, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করি” এই শ্লোগানে নড়াইলে যথাযথ মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ এবং বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়াকে স্বরণ করে দিবসটি পালন করা হয়।

​এ উপলক্ষে ৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসন এবং সমাজসেবা বিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

​অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন আব্দুস রশিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লিংকন বিশ্বাস, এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মৌসুমী মজুমদার সহ জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, শিক্ষার্ী ,নারী নেত্রী এবং সাংবাদিকবৃন্দ।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম বলেন,নারী নির্যাতন রোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বর্তমান প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল মাধ্যমে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার গুরুত্ব বিশেষভাবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন,
​”বেগম রোকেয়া আমাদের শিখিয়েছেন যে শিক্ষা ও সাহসের মাধ্যমে নারী তার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে। বর্তমানে প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষতার যুগে, নারী ও কন্যাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের সমাজের সকলের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা প্রয়োজন। বিশেষ করে, সাইবার জগতে নারীদের হয়রানি বন্ধে সামাজিক সচেতনতা ও আইনি পদক্ষেপকে আরও জোরদার করতে হবে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সমাজের সকল স্তরে সমতা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। তিনি আরও যোগ করেন যে, শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ করেই নয়, পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধের জাগরণের মাধ্যমেই একটি সহিংসতামুক্ত সমাজ গঠন সম্ভব।
​আলোচনা পর্ব শেষে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখা পাঁচজন অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এই সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে তাঁদের সাহস, সংগ্রাম এবং সাফল্যকে স্বীকৃতি জানানো হয়, যা জেলার অন্যান্য নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করবে। সফল জননী, শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সফলতা, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে ঘুরে দাঁড়ানো এবং সমাজ উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকার জন্য এই পাঁচজন নারীকে মনোনীত করা হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন