জাতীয় ডেস্ক:
নওগাঁর মান্দায় আরিফ হোসেন (২২) ও জনি আক্তার (১৭) নামে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ১২ নম্বর কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের তুলশিরামপুর মধ্যপাড়ার আব্দুর রহমানের একটি ইউক্যালিপটাসের বাগান থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আরিফ হোসেন তুলশিরামপুর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে এবং জনি আক্তার একই গ্রামের হাফিজুল ইসলামের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত আরিফ হোসেন ২০১৯ সালে দোয়ানী দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষা দিয়ে পাস করার পর থেকে নিজ বাড়িতে কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অপরদিকে জনি আক্তারও ওই মাদ্রাসা থেকে এবার দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেন। নিহতদের বাড়ি একই এলাকায়।
নিহত জনি আক্তারের একই এলাকার মিজানুরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু জনি আক্তারের পরিবার তাকে অন্যত্র বিয়ে দিতে চেয়েছিল। এ অবস্থায় তারা দুজন রোববার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
যাওয়ার সময় নিহত জনি আক্তার বাড়িতে একটি চিরকুট রেখে যান। চিরকুটে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমাকে ক্ষমা করো, আমি মিজানুরের সঙ্গে চলে গেলাম।’
মেয়েটির পরিবার জানায়, মিজানুরের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক, কিন্তু মিজানুর ঘটনাস্থলে নেই। আর আরিফ তার সঙ্গে যাওয়ার কোনো কারণ ছিল না। ঘটনার পেছনে মিজানুরকে সন্দেহ করছেন সবাই।
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, সোমবার সকালে তুলশিরামপুর গ্রামের একটি ইউক্যালিপটাসের বাগানে দুজনের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। এরপর থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মরদেহ উদ্ধারের সময় তাদের পাশে পড়া থাকা গ্যাস ট্যাবলেট, ঘুমের ট্যাবলেট, জন্মনিবন্ধন কার্ড, পানির বোতল, থ্রি-পিস ও অন্যান্য পোশাকসহ একটি ভ্যানিটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মিজানুরসহ আরও বেশ কয়েকজন যুবক সঙ্গে ছিল। মরদেহের প্রাথমিক সুরতহালে জনি আক্তারকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়।
ওসি আরও জানান, মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে তাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।