অনলাইন ডেস্ক:
দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে রয়েছেন সহকারী শিক্ষকরা। মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি এবং সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ।
এর আগে সোমবার (২৬ মে) থেকে সহকারী শিক্ষকরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যান। শিক্ষক নেতারা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। ফলে আজও দেশের ৬৫ হাজার ৫৬৭টি বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
তিন দফা দাবিতে তারা এর আগে গত ৫ মে থেকে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেন, যা চলে ১৫ মে পর্যন্ত। এরপর ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত প্রতিদিন দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেন। ২১ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত ছিল অর্ধদিবস কর্মসূচি। ওই কর্মসূচি শেষে রবিবার (২৫ মে) শেষ হয় অর্ধদিবস কর্মবিরতি। পরদিন সোমবার (২৬ মে) থেকে শুরু হয় লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ৬৮৫ জন, যা আগের ২ কোটি ৯ লাখ ১৯ হাজার ২০১ জন থেকে কিছুটা কমেছে।
আন্দোলনের বিষয়ে মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কনসালটেশন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আমরা মানি না। আমরা ১১তম গ্রেড দাবি করছি। এটি পূরণ না হলে কর্মসূচি চলবে।’
তাদের তিন দফা দাবি হলো-
১. কনসালটেশন কমিটির সুপারিশের যৌক্তিক সংশোধন করে সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ হিসেবে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ।
২. ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা দূর করা।
৩. প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত করা এবং দ্রুত পদোন্নতি প্রদান।