অনলা্িনি ডেস্ক :
দেবহাটার সাধারণ মানুষের রক্তের প্রয়োজনে এখন এক আস্থার নাম হচ্ছে সেচ্ছাসেবক আব্দুল্লাহ আল মামুন। দেবহাটা উপজেলার উত্তর সখিপুর নামক গ্রামে ২০০০ সালের ১৫ই মে জন্মগ্রহণ করেন , তিনি রমজান আলী ও চায়না বেগমের বড় পুত্র।
তার রক্তের গ্রুপ ০- এখন পর্যন্ত রক্ত দিয়েছে ১৪ বার তবে রক্ত ম্যানেজ করে দিয়েছে শত শত ব্যাগ,২০১৮ সাল থেকে তিনি সেচ্ছাসেবক হিসেবে আস্তে আস্তে পরিচিত লাভ করতে থাকে, দেবহাটার উপজেলার ভিতরে তার কাছে যোগাযোগ করে রক্ত পাইনি এমন ঘটনা খুবই কম, শুধু উপজেলার ভিতরে নয় তিনি সাতক্ষীরা থেকে শুরু করে কালিগঞ্জ পর্যন্ত মানুষের রক্তের ডোনার ম্যানেজ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, এই ব্যাপারে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি যখন অনেক ছোট ছিলাম তখন থেকে ইচ্ছা ছিলো বড় হয়ে রক্ত দিবো, ২০১৬ সালে যখন আমি নবম শ্রেণিতে পড়ি তখন আমি প্রথম রক্ত দিই, তার পর থেকে মাথায় চেপে বসে সেচ্ছাসেবী হওয়ার নেশা, উপজেলার এক বড় ভাইয়ের হাত ধরে সেই সময় সাতক্ষীরা জেলার ভিতরে নাম করা সেচ্ছাসেবী সংগঠন সাতক্ষীরা ব্লাড ব্যাংকে টুক টাক কাজ করতাম, তার পরে ২০১৯ দেবহাটা ব্লাড ব্যাংক নামে একটি সংগঠন তৈরি করি যেটা দেবহটার ভিতরে প্রথম অনলাইন প্লাটফর্মে, তাই ধরাবাহিকতায় ২০২১ সাল পর্যন্ত সেটাতে কাজ করা এর পরে কিছু দিন সংগঠনের বাইরে থাকা, বর্তামানে দেবহাটার ভিতরে নাম করা সংগঠন আমাদের টিম মানবিক পরিবার সংগঠনে সহ-সভাপতি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি।
আব্দুল্লার ব্যাপারে তার বাবার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার ছেলে যে ভালো কাজ করে তাতে আমাদের ভালো লাগে মানুষ আমার বলে তোমার ছেলে কাছে ফোন দিলেই রক্ত ম্যানেজ করে দেই এতে আমরা অনেক উপকৃত হই আমার সামনে কেউ যদি রক্তের কথা বলে তখন আমি আমার ছেলর নাস্বার দেই যে তার সাথে যোগাযোগ করো সে ম্যানেজ করে দিবে।
তার ব্যাপারে সাতক্ষীরারা একজন সেচ্ছাসেবক মাইনূল আহসান মিঠুর কাছে জানতে চইলে তিনি বলেন আব্দুল্লাহ একজন সৎ পরশ্রমী মানুষ তিনি সব সমায় চেষ্টা করেছে আমাদের সাথে বিভিন্ন কাজে সহযোগী করার এবং ব্লাড খুজে দেওয়ার ।
তিনি এখন যে সংগঠনে কাজ করে তার প্রতিষ্ঠিতা সভাপতি শেখ মনিরুল ইসলাম এর কাছে তার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠিতা সভাপতি হতে পারি কিন্তু সে আমার থেকে সেচ্ছাসেবক হিসেবে অনেক সিনিয়র অনেক অভিঞ্জতা তার আমি আশা করি সবার সহযোগিতা পেলে সে আরো অনেক ভালো কাজ করতে পারবে।