দেবহাটা প্রতিনিধি:
দেবহাটায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে তানজিন সুলতানা জুঁই (১৬) নামের এক স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুর ১টার দিকে মাঝ সখিপুর গ্রামের দো-তলা বিশিষ্ট বাড়ির একটি রুমে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই স্কুল ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের রওশন আলীর মেয়ে এবং পারুলিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বড়বোন জেসমিন সুলতানা আঁখির চিৎকার শুনে ওই বাড়িতে ছুটে গিয়ে স্কুল ছাত্রী তানজিন সুলতানা জুঁইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান তারা। সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছিল তার মরদেহ। পাশেই পড়েছিল জুঁইয়ের ব্যবহৃত অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও একটি বসার টুল। এসময় জুঁইয়ের ফোনটিতে প্রিন্স নামে এক যুবকের বারবার ফোন দিতেও দেখেন তারা, তবে নিরাপত্তা ও প্রমানজনিত কারণে কেউ ওই যুবকের ফোন রিসিভ করেননি। পরে তারা দেবহাটা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করে।
এলাকাবাসি জানায়, জুঁইয়ের বাবা-মায়ের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় প্রায় বছর খানেক আগে তার মা তাদের রেখে কর্মসংস্থানের জন্য ওমানে যান। এরপর কিছুদিন পারুলিয়াতে মৎস্য ব্যবসায়ী বাবার কাছে থাকলেও গত প্রায় ৭/৮ মাস জুঁই ও তার বড় বোন আঁখি মাঝ সখিপুরের আমজাদ হোসেন খোকনের ওই ভাড়া বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করতেন।
প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে ধারনা পুলিশের। তবে এর পিছনে প্রেম সংক্রান্ত বা অন্যকোন কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি মো. বাবুল আক্তার।