এআর সোহেব চৌধুরী চরফ্যাশন (ভোলা) :
জলবায়ু দুর্যোগে ভারাক্রান্ত চরফ্যাশনের উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দারা। সামুদ্রিক অঞ্চলের বিচ্ছিন্ন দ্বিপ কুকরি-মুকরি ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন দ্বিপ চরপাতিলা। পাতিলার চরের বাসিন্দারা ছোটবেলা থেকেই নানান রকমের ঝর জলচ্ছাস,বন্যা,লবনাক্ততা ও নদী ভাঙ্গনের বৈরিতার মাঝে বেড়ে উঠেছে। এ চরের বাসিন্দারা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় দির্ঘদিন পিছিয়ে থাকলেও এখন আর পিছিয়ে নেই। সরকারী উন্নয়নের পাশাপাশি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাগুলোও ভোলার দূর্গম অঞ্চলগুলোতে বিদ্যালয়,মসজিদ,মাদ্রাসা,কালবা র্টসহ ক্লিনিক্যাল স্বাস্থ্য সেবায় আলোকবর্তীকা হিসেবে এক অনন্যতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে ।
এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার দূর্গম চর পাতিলায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জিবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে চরবাসির দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দিতে “চরপাতিলা স্বাস্থ্য সেবা ও নারী উন্নয়ন কেন্দ্র” স্থাপন করেছে। অবহেলিত এই চরের বাসিন্দাদের কাছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা ছিলো স্বপ্নের মতো। যা এখন আলোকবর্তীকা হিসেবে বাসিন্দাদের জীবনমান ও স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নে কাজ করছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের অর্থায়নে ও এমআরডিআই এবং এমটিবির যৌথ সহযোগীতায় ১কোটি ৭১ লাখ টাকার প্রকল্পের মাধ্যমে অবহেলিত এ জনপদে স্বাস্থ্য সেবা ও নারী উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। যা প্রান্তীক জনগোষ্ঠীর গর্ভবর্তী মা ও নবজাতক শিশুসহ সার্বজনিন স্বাস্থ্য সেবা পরিচালনা করছে স্থানিয় উন্নয়নধ্বারা ট্রাস্ট নামের একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা। এছাড়াও অবহেলিত শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। যা বর্তমানে সরকারী প্রাথমীক বিদ্যালয়ে রূপান্তরীত হয়েছে। স্থানিয় গ্রামবাসী নুরুন নাহার,নাজমা বেগমসহ একাধিক ব্যাক্তি জানান, দূর্গম অঞ্চল হওয়ায় এলাকার গর্ভবতী নারীরাসহ স্থানীয় জন সাধারণ চিকিৎসা বঞ্চিত ছিলো দির্ঘদিন।
বর্তমানে এ স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও নারী উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপনে অবহেলিত মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত হয়েছে। আবুল কাশেম ও ইউসুফ জানান, এ চরের শিশুরা শিক্ষাবঞ্চিত থাকাকালিন সময়ে জেলে পেশা অথবা শহরে গিয়ে বিভিন্ন কাজে জড়িয়ে পড়তো। বর্তমানে বিদ্যালয়টি স্থাপন হওয়ার পরে এখানকার শিশু ও কিশোর কিশোরীরা অন্তত প্রাথমীক শিক্ষার্জন করছে। গতকাল শনিবার সংশ্লিষ্ঠ সংস্থার নেতৃবৃন্দ স্বাস্থ্যসেবা ও নারী উন্নয়ন কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন।