হোম আন্তর্জাতিক দিল্লিতে গাড়িবোমা বিস্ফোরণে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৪ চিকিৎসকের নিবন্ধন বাতিল

দিল্লিতে গাড়িবোমা বিস্ফোরণে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৪ চিকিৎসকের নিবন্ধন বাতিল

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 43 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের মেডিকেল কলেজগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন (এনএমসি) দিল্লিতে গাড়িবোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৪ জন চিকিৎসকের নিবন্ধন বাতিল করেছে। ওই চিকিৎসকরা হলেন মুজাফফর আহমেদ, আদিল আহমেদ রাথের, মুজাম্মিল শাকিল এবং শাহীন সাঈদ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিবন্ধন বাতিলের ফলে এই চার চিকিৎসক এখন থেকে ভারতের কোথাও চাকরি কিংবা স্বাধীনভাবে প্র্যাকটিস করতে পারবেন না।

এক বিবৃতিতে এনএমসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এবং সেই অভিযোগের পক্ষে থাকা সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তাদের নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনএমসি।

এই চার চিকিৎসকের মধ্যে মুজাফফর আহমেদ, আদিল আহমেদ রাথের, মুজাম্মিল শাকিল কাশ্মিরের বাসিন্দা। আর শাহীন সাঈদের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌ। এই চার জনের ব্যাপরে জম্মু-কাশ্মির পুলিশ, জম্মু-কাশ্মীর মেডিক্যাল কাউন্সিল এবং উত্তরপ্রদেশ মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছ থেকে এই তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছে ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন। কমিশনের শুক্রবারের বিবৃতিতে এই, “ডাক্তারের পেশায় যে সততা, নিবেদন প্রয়োজন, তার সঙ্গে এবং জনসাধারণের আস্থার সঙ্গে এই চার চিকিৎসকের আচরণ অসঙ্গতিপূর্ণ।’

গত ১০ নভেম্বর সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে নয়াদিল্লির পর্যটন এলাকা লাল কিল্লার একটি মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি আত্মঘাতী গাড়িবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন ওই গাড়ির চালকসহ ১৩ জন এবং আহত হন কমপক্ষে ৩০ জন।

এই বিস্ফোরণের প্রধান সন্দেহভাজন উমর নবী সেদিন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। জম্মু-কাশ্মিরের পুলওয়ামা জেলার বাসিন্দা উমর নিজেও চিকিৎসক ছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়িটির চালক ছিলেন উমর।

দিল্লিতে বিস্ফোরণের প্রায় দু’সপ্তাহ আগে জম্মু-কাশ্মিরের অনন্তনাগ জেলায় পাকিস্তানি কাশ্মিরভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই মহম্মদের পোস্টার সাঁটতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন আদিল আহমেদ রাথের।

পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে হরিয়ানার ফরিদাবাদ জেলা থেকে মুজাফফর আহমেদ, মুজাম্মিল শাকিল এবং উত্তরপ্রদেশের শাহারানপুর জেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শাহীন সাঈদকে। এই তিনজনকে গ্রেপ্তারের দু’দিন পরই ঘটে বিস্ফোরণকাণ্ড।

গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফরিদাবাদ ও শাহারানপুর থেকে মোট ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করে পুলিশ। এই বিস্ফোরক উদ্ধারের দু’দিন পরেই দিল্লিতে গাড়িবোমার বিস্ফোরণ হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন