বাণিজ্য ডেস্ক :
ভারত থেকে আমদানি বাড়তে থাকায় দেশের বাজারে কমতে শুরু হয়েছে গমের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে হিলি স্থলবন্দরে মেট্রিক টন প্রতি ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা দাম কমেছে। এতে স্বস্তিতে পাইকাররা। তবে গম বেশিদিন ট্রাকে থাকায় গুণগত মান নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা।
গেল ১২ মে ভারত বিনা নোটিশে গম রফতানি বন্ধ করে দেয়। এর ১৭ দিন পর আবারও শুরু হয় আমদানি। তবে বন্ধ হওয়ার আগে দৈনিক ১০ থেকে ১৫ ট্রাক গম এলেও বর্তমানে দৈনিক ৩০ থেকে ৩৫ ট্রাক গম আমদানি হচ্ছে।
আমদানি বাড়ার প্রভাব প্রড়েছে দেশের বাজারে। বন্দরে গমের দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা কমে ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে স্বস্তিতে পাইকাররা।
তারা বলেন, ব্যাপক চাহিদা থাকায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হচ্ছে। দাম কমছে। তবে গুণগত মান অনেক খারাপ।
তবে গম দীর্ঘ সময় ট্রাকে থাকায় গুণগত মান নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় আমদানিকারকরা। নতুন এলসি চালু হলে দাম আরও কমে আসার কথা জানান ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক দিন আগের এলসি। অনেক আগের পণ্য। এসব পণ্য ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করার জন্য কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ট্রাকে পরে থাকার কারণে গমের গুণগত মান খারাপ হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে দামও অনেকটা কমে গেছে।
গম আমদানির ট্রাক দ্রুত ছাড় দিতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে হিলি পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক।
বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, গেল ১৯ কর্মদিবসে ভারত থেকে ৪১০টি ট্রাকে পুরনো এলসির ১৬ হাজার ১৬৪ মেট্রিক টন গম আমদানি হয়েছে। আর বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে ভারতীয় ১৩৫ গম বোঝাই ট্রাক।