হোম অর্থ ও বাণিজ্য তেলের বাজারে এখনো চলছে লুকোচুরি খেলা

বাণিজ্য ডেস্ক :

আবারও তেল নিয়ে তেলেসমাতির আভাস পাচ্ছেন কারওয়ান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ, বাজারে তেল নিয়ে চলছে লুকোচুরি খেলা। তেলের দাম বাড়ানোর সপ্তাহ পার হলেও দুটি কোম্পানি তেল দিচ্ছে না বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। বাকিরা সরবরাহ করলেও তা পরিমাণে কম। এদিকে বৃহস্পতিবার (১২ মে) রাজধানীর কাপ্তান বাজারের একটি গুদামে অভিযানে প্রায় ৮ হাজার লিটার মজুত করা তেল উদ্ধার করা হয়। এ সময় প্রতিষ্ঠানটিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

গত ৫ মে দাম বাড়ানোর পর শনি-রোববার তেল পেয়ে দোকানিরা ভেবেছিলেন শিগগিরই স্বাভাবিক হবে রমজানের শেষে সংকটে পড়া ভোজ্যতেলের বাজার। কিন্তু দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের মনে পড়ছে দাম বাড়ানোর আগে কোম্পানির আচরণের কথা। ক্রেতাদেরও অভিযোগ, এখনো তেলের বাজারে লুকোচুরি খেলা চলছে।

বাজারে তেলের সরবরাহ সংকটের অভিযোগ করে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, সব ব্র‌্যান্ডের সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। কারওয়ান বাজারে বিশেষ করে দুটি প্রতিষ্ঠান–তীর ও ফ্রেশ তেল সরবরাহ করছে। এ ছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যেমন: রূপচাঁদা ও বসুন্ধরা তেল সরবরাহ করছে না। ডিলাররা বলছেন, তেল বাজারে আসবে, কিন্তু বাস্তবে তো আসছে না। প্রায় এক মাস আগে তেলের অর্ডার দিয়েছি, কিন্তু টাকা আটকে আছে, তেল সরবরাহ করা হয়নি।

বাজারে তেল সংকট কেন কাটছে না, তা খতিয়ে দেখতে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে রাজধানীর কাপ্তান বাজারে একটি গুদামে এসে অবৈধভাবে ভোজ্যতেল মজুতের প্রমাণ পায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ সময় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে অতিরিক্ত দামে তেল বিক্রির সত্যতা মেলে।

অভিযানকালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, কৃত্রিম সংকট তৈরি করার জন্য ঈদের আগে তেল কিনে মজুত করে রেখেছেন। যেহেতু ঈদের পর তেলের দাম বাড়বে বলা হচ্ছিল, তাই অতি মুনাফার আশায় এ কাজ করেছেন।

এসব অপরাধে মাইকে ঘোষণা দিয়ে আগের দামে তেল বিক্রির নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি জনতা এন্টারপ্রাইজ নামের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়।

 

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন