গত ৬ ফেব্রুয়ারি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল তুরস্ক। ওই ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির হাতায় প্রদেশ। ভূমিকম্পের পর প্রদেশটির বেশিরভাগ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেঙে পড়ে কয়েকশ ভবন। এমন একটি ভবনের নিচ থেকে এক মেয়ে শিশুকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের প্রায় দুমাস পর ওই শিশু তার মায়ের কোলে ফিরেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
প্রতিবেদনে লন্ডনভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি জানায়, ভূমিকম্পের প্রায় দুমাস পরে দক্ষিণ তুরস্কের ওই মা তার মেয়ে সন্তানের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন। ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিতের পর মা ও সন্তানের মিলন হয়। দেশটির পরিবার মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে পরিবার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাড়ে তিন মাসেরও ওই শিশুকে স্থানীয়রা ‘মিরাকেল বেবি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল; তবে, ওই শিশুর নাম ভেতিন। ভূমিকম্প আঘাত হানার পাঁচ দিন পর ধ্বংসস্তূপ থেকে ওই নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। ভেতিনের কোনো শারীরিক সমস্যা ছিল না।
ভূমিকেম্পর ৫৪ দিন পর ওই শিশুকে তার মায়ের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
তুরস্কের পরিবার ও সমাজসেবা মন্ত্রী ডেরিয়া ইয়ানিক বলেছেন, ‘একজন মা এবং তার সন্তানের পুনর্মিলন বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কাজগুলোর মধ্যে একটি।’
রয়টার্স বলছে, ওই শিশুকে উদ্ধারের পর আদানার একটি হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপরেই প্রেসিডেন্টের একটি বিমানে করে তাকে আনকারা কর্তৃপক্ষের কাছে নেওয়া হয়। এতদিন সেখানেই ছিল ভেতিন।
আদানার যে হাসপাতালটিতে ভেতিনের চিকিৎসা করা হয়, সেখানেই মা ও মেয়ের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। হাসপাতালটিতেই মা ও মেয়ে মিলিত হন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে তুরস্কে অন্তত অর্ধলাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। আর প্রতিবেশী যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ায় মারা গিয়েছিল ছয় হাজার মানুষ। শক্তিশালী ভূমিকম্পে ভেতিনের বাবা ও ও দুই ভাই মারা গিয়েছিল।