হোম অন্যান্যসারাদেশ তাহিরপুরে ফের প্রধান শিক্ষিকা নুরুন নাহারের বিরুদ্ধে দফায় দফায় অভিযোগ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :

তাহিরপুর উপজেলার দুধের আউটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেই প্রধান শিক্ষিকা নুরুন নাহারকে অপসারণ ও তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

দুই শতাধিক অভিভাবকের স্বাক্ষরিত ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ নামায় বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে দুধের আউটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দান করেন নুরুন নাহার। বিদ্যালয়ে যোগদানের পরথেকে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন তিনি। শিক্ষার্থীদের মানষিক নির্যাতন করা, প্রশংসা পত্র ও পিএসসি সার্টিফিকেট না দেয়া, বিদ্যালয়ে বরাদ্দকৃত টাকা সঠিক ভাবে ব্যবহার না করে অর্থ আত্মসাৎ করা, শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের সাথে অসৎ আচরণ, বিদ্যালয়ে রেগুলার না আসা এবং সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে না আসায় শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা ও বিদ্যালয়ে অবকাঠামোর অবনতি সহ নানা অনিয়মের বিষয় অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। তাছাড়াও শিক্ষার্থীদের যে-কোনো বিষয়ে পরামর্শ ও কোনো বিষয়ে জানতে ওই শিক্ষিকার কাছে গেলে অনেক অবিভাবক হেনস্তার শিকারও হয়েছেন বটে।

এসব বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ২৩ শে আগস্ট মঙ্গলবার হাবিবুল ইসলাম নামে এক অবিভাবক এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

প্রধান শিক্ষিকা নুরুন নাহারের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ না করায় ওনার বক্তব্য নেয়া যায়নি।

এবিষয়ে সরেজমিনে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানাযায়-২০১৮ সালে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার পর থেকেই ওই শিক্ষিকা বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন।বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মরামতের, স্লিপ গ্রান্টের, প্রাক-প্রাথমিক ও রুটিন মেইনটেইনের বরাদ্দকৃত টাকা সঠিক ভাবে কাজে না লাগিয়ে আত্মসাৎ করেছেন প্রায় দুই-আড়াই লক্ষ টাকা। বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে কোন আলোচনা সমাবশ ও জাতীয় দিবস পালন না করেই সমাবেশ ও জাতীয় দিবস পালন দেখিয়ে খরচ বাবদ হাতিয়ে নিয়েছেন হাজার হাজার টাকা। শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের সাথে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করেন তিনি। গ্রামবাসীর তার এমন কর্মকান্ডে বাধা-নিষেধ করিলে মামলা-মোকদ্দমার ভয়ভীতি দেখিয়ে তিনি উচ্চস্বরে বলেন আমি মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে, আমার বাবার অনেক পাওয়ার, আমাকে কে কি করবে ? যারা ঝামেলা করবে তাদেরকে একের পর এক মামলা দিয়ে স্তব্ধ করে রাখবে বলে অনেক’কেই হুমকিও দেন ওই শিক্ষিকা। এমনকি ওই বিদ্যালয়ের জমি দাতার নাম পরিবর্তন করে অন্য লোকের নাম সাইনবোর্ডে লেখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্কুল দাতা সঞ্জব আলী মোড়ল।

তাছাড়াও ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো শেষ নেই। এক কথায় তার বিরুদ্ধে পাহাড় সমান অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে পূর্বেও অসংখ্য জাতীয় পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে ওই শিক্ষিকাকে দ্রুত অপসারণ ও তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানান এলাকাবাসী।

এ ব্যপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খুব দ্রুত ওই শিক্ষিকাকে অপসারণ করা হবে এবং তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন