আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
আফগানিস্তানের কিছু তালেবান কর্মকর্তাকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে সোমবার (২২ আগস্ট) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়।
আল জাজিরা জানায়, ২০১১ সালের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের অধীনে ১৩৫ তালেবান নেতার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, যার মধ্যে সম্পদ জব্দ করা এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
সম্প্রতি তাদের মধ্যে ১৩ জন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। তাদের বিদেশে অন্যান্য দেশের নেতা ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারার নিয়মিত সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে।
কিন্তু শুক্রবার (১৯ আগস্ট) তাদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হলেও তা আরও এক মাসের জন্য বাড়ায় নিরাপত্তা পরিষদ। এতেই বাধে বিপত্তি। আয়ারল্যান্ড এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানায়।
গত জুন মাসে, নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত অবরোধ কমিটি আফগানিস্তানের কট্টরপন্থি শাসকদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় নারী ও মেয়েদের শিক্ষা কঠোরভাবে হ্রাস করার জন্য দায়ী শিক্ষা বিভাগের দুই তালেবান মন্ত্রীকে অব্যাহতি তালিকা থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ তালিকাটি আরও সংক্ষিপ্ত করতে চায়। তালেবানরা এক বছর আগে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে বা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিশ্রুতিকে সম্মান করতে তাদের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেছে পশ্চিমা দেশগুলো।
এই মাসের শুরুর দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাবুলে একটি ড্রোন হামলায় আল-কায়েদা নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে হত্যার ঘোষণা দেয়। এতে জঙ্গিগোষ্ঠীকে আশ্রয় না দেয়া প্রশ্নে তালেবানরা তাদের প্রতিশ্রুতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
অবশ্য চীন এবং রাশিয়া অব্যাহতি তালিকার নিয়মিত সম্প্রসারণকে সমর্থন করে চলেছে।
গেল সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদের চীনা প্রধান বলেন, এই ছাড়গুলো এখনই প্রয়োজন। কারণ তালেবান কর্মকর্তাদের জন্য ভ্রমণবিষয়ক মানবাধিকারের সঙ্গে এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা অব্যাহতি থেকে সরিয়ে দেয়াকে ‘বিপরীত নীতি’ বলে মনে করে চীন।
