কিশোর কুমার, নিজস্ব প্রতিনিধি :
অলৌকিক কারনে তালায় নির্বাচনী অফিসে বস্তাবন্দী ব্যালট মুখখোলা অবস্তায় উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় ব্যালট বস্তা আদালতে নিতে গেলে উপজেলা নির্বাচন অফিসার সহ আদালতের কর্মকর্তারা জনসাধারনের বাধার সম্মুখীন হয় বলে জানায় স্থানীয়রা । বৃহস্পতিবার সকালে তালা নির্বাচনী কার্যলয়ে সামনে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানায় ,আজ সকালে উপজেলা নির্বাচনী কার্যলয়ে আদালতের কর্মকর্তারা বস্তাবন্দী ব্যালট আদালতে নিতে আসলে কিছু লোকজন সেখানে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নির্বাচনী কার্যলয় এবং আদালতের কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত রায় ঘটনাস্থলে এসে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে। প্রায় ঘটনাব্যাপি বাকবিতণ্ডা শেষে অবশেষে পুলিশি নিরাপর্তায় আদলতের কর্মকর্তরা ব্যালটের বস্তা নিয়ে সাতক্ষীরা উদ্দেশ্য রওনা দেয় । তবে ব্যালটের একটি বস্তার মুখ খোলা অবস্তায় ছিল বলে জানান স্থানীয়রা ।
সরুলিয়া চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রব পলাশ জানান, ২০ সেপ্টেম্বর দেশে ১ম ধাপের ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।নির্বাচনে সরুলিয়া ইউপিতে আমি আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী ছিলাম। আমার প্রতিপক্ষ ছিলেন, নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মতিয়ার রহমানও মোটর সাইকেল প্রতিকের প্রার্থী আব্দুল হাই। নির্বাচনে আমাকে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে ৩৫১ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়। বাধ্য হয়ে আমি সাতক্ষীরা নির্বাচন কমিশন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। মামলা নং২/২১।
দীর্ঘ প্রতিক্ষা শেষে আদালত ২০ জানুয়ারি মধ্যে ভোট গননা সহ ব্যালটের বস্তা আদালতে জমাদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করে। সকালে আদালতের কর্মকর্তারা তালা নির্বাচন অফিসে ব্যালটের বস্তা আনতে গেলে সেখানে বাঁধে বিপত্তি । এসময় সরুলিয়া চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সহ তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আদালতের লোকজন সহ তালা নির্বাচন অফিসার রাহুল রায়ের ওপর চড়াও হন। ওই সময় তারা আদালতের কর্মীকর্তা সহ উপজেলা নির্বাচনী কার্যলয় ঘন্টাব্যাপি অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে সেখানে থেকে মুক্তি পায় তারা । বিষয়টি আজ তালার শতশত মানুষ দেখেছে এরকম নিন্দনীয় কাজের জন্য আমি ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবী জানাই।
তালা নির্বাচন অফিসার রাহুল রায় বলেন, সকালে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যালটপেপার পাঠানো হচ্ছিল। এসময় একটি বস্তার মুখ টানাটানির কারনে খুলে যায়। তবে অবরুদ্ধের ঘটনাটি কৌশালে এড়িয়ে বলেন, সামন্য একটু ভূল বোঝাবুঝি হয়েছে তাছাড়া আর কিছুইনা।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত রায় বলেন, সকালে আদালতে ব্যালটের বস্তা পাঠানোর নির্বাচন অফিসে একটি বস্তার মুখ খোলা অবস্তায় পাওয়া যায়। পরবর্তীতে বস্তাটি আবার সিলগালা করে সেটি আদালতে পাঠনো হয়। এ বিষয়ে আমাদের কোন দায় নেয় এটা সম্পূর্ণ নিবাচন অফিসারের দ্বায়িক্ত। তবে ব্যালটের বস্তা আদালতে নেওয়ায় সময় কোনবিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি দাবী করেন।
বিষয়টি নিয়ে তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, তিনি আমি ঘটনা শোনা মাত্র নির্বাচনী কার্যলয়ে গিয়ে দেখি একটি বস্তার মুখ খোলা। এ বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তারা কোন সদুত্তর দিতে পারনি। তাৎক্ষনিক আমি বিষয়টি ইউএনও এবং যুবউন্নয়ন কর্মকর্তাদের জানাই তারা ঘটনাটি দেখেন। এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে । তবে বিশৃঙ্খলার ঘটনাটি এড়িয়ে বলেন, এধরনের তেমন কোন ঘটনাই ঘটেনি।
