তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি :
জমি বন্ধক রাখার জন্য ২১ লক্ষ টাকা দিয়ে প্রতারনার শিকার হওয়া তালার জেঠুয়া গ্রামের ২১ জন ভুক্তভোগী কৃষক সংবাদ টাকা ফেরত পাবার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। রোববার (১ জানুয়ারী) দুপুরে তালা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের জেঠুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের পক্ষে জাহাঙ্গীর আলম সুমন মাষ্টার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
২১ জন ভুক্তভোগী কৃষক স্বাক্ষরিত লিখিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জেঠুয়া গ্রামের মৃত দবির উদ্দিন ফকিরের পুত্র বিশিষ্ট চা গবেষক শাহ কামাল লাল্টু চাকুরীর সুবাদে দীর্ঘদিন এলাকার বাইরে অবস্থান করেন। এই দীর্ঘ ২৪ বছর কাল যাবৎ শাহ কামাল লাল্টুর বসত ভিটায় স্ব-পরিবারে বসবাস সহ তাদের সমুদয় জায়গা-জমির তদারকির দায়িত্বে ছিলেন- একই এলাকার মৃত শেখ মোবারক আলীর পুত্র এস এম তরিকুজ্জান। সেই থেকে তরিকুজ্জামান উক্ত ভিটায় বাড়ী-ঘর নির্মান সহ এলাকার কৃষকদের নিয়ে জমি-জায়গা চাষাাবাদ করে আসছেন। এক পর্যায়ে তরিকুজ্জামান এলাকার কৃষকদের নিকট শাহ কামাল লাল্টুর জমি-জায়গা বন্ধন রাখতে শুরু করেন। কৃষকরা ডকুমেন্ট চাইলে, তরিকুজ্জামান স্বাক্ষর করে টাকা নিয়ে ষ্টাম্পে চুক্তিপত্র করেদেন। এভাবে সে মোট ২১জন নিরিহ ও দরিদ্র কৃষকদের কাছ থেকে ২১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
ভুক্তভোগী সুমন মাষ্টার বলেন, জমি বন্দক রাখার পর থেকে কোনও কোনও কৃষক ১৫/২০ বছর যাবৎ এলাকার ওই জমি চাষাবাদ করে আসছে। কৃষকরা আরও জানান, শাহ কামাল লাল্টু বছরে দু-একবার বাড়ীতে আসলে আমরা তাকে সব কিছু জানালে, তিনি তরিকুলের সহিত সমন্বয় করতে বলেন। সম্প্রতি শাহ কামাল লাল্টু বাড়ীতে এসে তাঁর জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি সহ থানায় আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এখন জমি ছেড়ে দিলে আমাদের দেয়া ২১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা উদ্ধার হওয়ার কোনও সম্ভাবনা বা সুযোগ নেই। কারন প্রতারক তারিকুজ্জামান ইতোমধ্যে গা ঢাকা দিয়েছে। তার স্ত্রী শারমীন বেগম জেঠুয়া গ্রামের বাড়িতে রয়েছে। স্ত্রীর সহযোগীতায় প্রতারক তারিকুজ্জামান আত্মগোপনে রয়েছে। খেটে খাওয়া ভুক্তভোগী কৃষকরা আরও জানান, তরিকুজ্জামানকে পলাতক থাকলেও লাল্টুর বাড়ীতেই তার স্ত্রী-সন্তান এখনও বসবাস করছে। তারকাছে টাকা ফেরত বা তারিকুজ্জামান এর সন্ধান চাইলেও কোনও উত্তর পাওয়া যাচ্ছেনা। উল্টো আমাদের জমি থেকে হটিয়ে দেবার জন্য চাঁপ প্রয়োগ অব্যাহত রয়েছে। এভাবে কোনও সমাধান ছাড়া জমি ছেড়ে দিলে ২১জন দরিদ্র ও হতদরিদ্র মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাবে। এবিষয়ে যথাযথ প্রতিকার সহ দেয়া টাকা ফেরত পাবার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী কৃষকরা।