খেলাধূলা ডেস্ক :
হাইপ্রোফাইল তারকার দিকে বেশি ঝোঁকা, টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনাহীনতা আর মাঠে ক্রিকেটারদের বাজে পারফরম্যান্সই ডুবিয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা বাজেটের দল মোহামেডানকে। তাই ২০১৭/১৮ মৌসুমের পর আবারও ডিপিএলের সুপার সিক্সে নেই মতিঝিলের জায়ান্টরা। মোহামেডানের এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সে বিস্মিত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব আবাহনীও। আর সাদা কালোদের সাবেক ক্রিকেটার থেকে অধিনায়ক সবাই বলছেন, দেশের ক্রিকেটের স্বার্থেই ভবিষ্যতে আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ক্লাব কর্তাদের।
এক ফ্রেমে দেশের ক্রিকেটের ফ্যান্টাসটিক ফাইভ। সাকিব, মুশফিক, রিয়াদ, মিরাজ, তাসকিন। এ দলটাকে দেখে ভয় না পাওয়ার উপায় কি আছে? তবে আলোর নিচেই যে অন্ধকার। কাড়ি কাড়ি টাকা ঢেলেও সফলতা পাওয়া হলো না। ডিপিএলে ব্যর্থ মোহামেডান, ভেস্তে গেল পরিকল্পনা।
কিন্তু এমনটাতো হওয়ার কথা নয়! প্রায় ১০ কোটি টাকা দিয়ে প্রিমিয়ারে দল গড়েও কেন খেলা হচ্ছে না সুপার সিক্সে! উত্তরে আতস কাঁচের নিচে মোহামেডান কর্তাদের পরিকল্পনাহীনতা। জাতীয় দলের কমিটমেন্টের কারণে অধিকাংশ তারকার সার্ভিস যে পাবে না তারা, সেটা আগেই জানা ছিল।
তবে ব্যাকআপ হিসেবে যাদের নেওয়া, তারাও চরম ব্যর্থ। বিদেশি রিক্রুট হিসেবে সাইনিং করানো ‘প্রফেসর’ মোহাম্মদ হাফিজও শুধু খেলেই গেলেন। শেষ দুই ম্যাচে কুশল মেন্ডিসকে উড়িয়ে আনা হলেও ততক্ষণে বড্ড দেরি হয়ে গেছে। মোহামেডানের ব্যর্থতার দায় অনেকটা যাবে সৌম্যর ওপরও। পুরো টুর্নামেন্টেই ব্যর্থ এই ওপেনার।
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সাবেক ক্রিকেটার জাভেদ ওমর বেলিম বলেন, আবাহনী-মোহামেডান আমাদের ক্রিকেটের ঐতিহ্য। তারা যখন ভালো খেলে, তখন ভালো লাগে।
মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, এটা দুঃখজনক। এত বড় ক্লাব। আমরা যারা দলটিতে খেলেছি, তাদের খারাপ লাগে যে, মোহামেডান ভালো করতে পারেনি।
ঐহিত্যবাহী মোহামেডানের ঐতিহ্যে ভাঙন ধরেছে অনেক আগেই। তাদের এমন বিদায়ে মন খারাপ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবেরও। দেশের ক্রিকেটের জন্য যা স্বস্তিদায়ক সংবাদ নয় মোটেই।
ব্যর্থতাই যে নতুন দিনের দিশা দেয়। তবুও ব্যর্থতার বৃত্তে বারবারই ঘুরপাক খাচ্ছে মোহামেডান। ক্লাবটির অন্তপ্রাণ সমর্থকরা আছেন অপেক্ষায়। লোক দেখানো নয়, যেদিন ক্লাব কর্তা কিংবা ক্রিকেটার, যাদের নিবেদন নিয়ে থাকবে না কোন প্রশ্ন।