আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
তাইওয়ানের আকাশ ও সমুদ্রসীমার কাছে চীনের সামরিক তৎপরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) তাদের বিমান প্রতিরক্ষা সীমানা লঙ্ঘন করেছে ১৯টি চীনা যুদ্ধবিমানের একটি বহর।
এর মধ্যে পারমাণবিক বোমা হামলায় সক্ষম অন্তত চারটি এইচ-সিক্স যুদ্ধবিমান ছিল। তবে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি চীন।
বিগত এক বছর ধরে তাইওয়ানের ক্রমাগত অভিযোগ, তাদের আকাশসীমার খুব কাছ দিয়ে বার বার উড়ে যাচ্ছে চীনা যুদ্ধবিমান। সমুদ্রসীমায় চীনা জাহাজ ঢুকে পড়ছে বলেও দাবি তাদের।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, চীনা মিশনে ১০টি জে-১৬, চারটি সু-৩০ যুদ্ধবিমান, চারটি এইচ-৬ বোম্বারও ছিল। এসব বিমান দিয়ে পরমাণু অস্ত্র হামলা চালানো সম্ভব। এছাড়া ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী বিমানও ছিল।
দ্বীপ দেশটির দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, গেল জুন মাসে তাদের বিমান প্রতিরক্ষা এলাকার ওপর দিয়ে ২৮টি চীনা যুদ্ধবিমান উড়ে যায়, যা ছিল এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিমান বহর।
এর আগে, ২৪ জানুয়ারি ঢুকেছিল ১৫টি চীনা বিমান। আর ১২ এপ্রিল ঢুকেছিল ২৫টি বিমান। নিজেদের আকাশসীমায় চীনা বিমানের এভাবে ঢুকে পড়া নিয়ে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, চীনের হুমকি দিন দিন বাড়ছে এবং দেশটির সেনাবাহিনী তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অকেজো করে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০১৬ সালে সাই ইং ওয়েন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দেশটির জন্য একটি সার্বভৌম পরিচিতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের ঐতিহাসিক যোগাযোগের বিষয়টি মুছে দিতে চাইছেন তিনি। অন্যদিকে এ বছরের শুরুতে চীন হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, তাইওয়ানের স্বাধীনতা অর্জনের যে কোন চেষ্টার অর্থ হবে যুদ্ধ।
গণতান্ত্রিকশাসিত তাইওয়ান আন্তর্জাতিক সমর্থন চাইলে অসন্তোষ থেকেই চীন এমন অভিযান পরিচালনা করছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাইওয়ান সম্পর্ক জড়াতে চাইলে চীনারা বৈরী আচরণ করছে।
তাইওয়ানকে শীর্ষ অস্ত্র সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু নতুন মিশনের মাধ্যমে চীন কী অর্জন করতে চাইছে, তা পরিষ্কার হওয়া সম্ভব হয়নি। গত মাসে তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ও কোস্ট গার্ড কাটার অতিক্রম করেছিল।