জাতীয় ডেস্ক:
উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্পের তথ্য চেয়ে আবেদন করার জেরে সাংবাদিককে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দণ্ড দেয়ার ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
এ বিষয়ে দেয়া বিবৃতিতে আসক জানায়, গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা জাতীয় দৈনিক ‘দেশ রূপান্তর’র নকলা উপজেলা সংবাদদাতা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রকল্পের কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ক্রয়-সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে আবেদন করেছিলেন তিনি।
এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ মার্চ দুপুরে ওই তথ্য না পাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ইউএনও মোবাইল কোর্ট বসিয়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে জেলে পাঠিয়েছেন।
বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ নম্বর অনুচ্ছেদ বলে বাকস্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে একজন পেশাগত সাংবাদিককে কারাগারে পাঠানো রাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষমতা প্রদর্শনের যে অনাকাঙ্খিত আচরণ বিদ্যমান রয়েছে, এই ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ।
আসক বলছে, ইতিপূর্বেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক শাস্তি ঘোষণা করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে।
আসক নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, ‘স্বাধীন সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের নির্বিঘ্নে পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে এ ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ ধরনের প্রবণতা সাংবিধানিক মূলনীতির পরিপন্থি।’
আসক গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর গুরুত্বারোপ করে এবং যেকোনো সাংবাদিককে হয়রানি, নির্যাতন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এরই ধারাবাহিকতায় আসক উল্লেখিত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছে।
একইসঙ্গে সাংবাদিক শফিউজ্জামানের মুক্তি এবং স্বাধীন সাংবাদিকতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানায় আসক।