হোম জাতীয় ঢাকায় গুলিতে নিহত কামালের ৩ সন্তানকে নিয়ে দিশেহারা স্ত্রী সাদিয়া

ঢাকায় গুলিতে নিহত কামালের ৩ সন্তানকে নিয়ে দিশেহারা স্ত্রী সাদিয়া

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 35 ভিউজ

জাতীয় ডেস্ক:

‘এই তিন ছেলে মেয়ে এখন এতিম হয়ে গেল! আমি ওদের নিয়ে কোথায় দাঁড়াব, এখন কে ওদের দেখবে?’ কোটা আন্দোলনের সময় মাথায় গুলি লেগে নিহত কামাল হোসেন ওরফে সবুজের (৩৮) স্ত্রী সাদিয়া বেগম (রানু) কেঁদে কেঁদে এ কথা বলছিলেন।

কামাল হোসেন ওরফে সবুজ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের গাড়িচালক ছিলেন। গত শনিবার সকালে ঢাকার বাড্ডার শাহজাদপুর এলাকায় আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন কামাল। খবর পেয়ে ঢাকা থেকে মরদেহ ঝালকাঠি নিয়ে আসেন সাদিয়া বেগমের ভাই রিপন হাওলাদার।

তিনি জানান, শনিবার সকালে বাড্ডার শাহজাদপুর এলাকার ভাড়া বাসা থেকে নাশতা খেতে বের হয়েছিলেন কামাল হোসেন। তখন কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার মধ্যে পড়ে হঠাৎ কামাল মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

রিপন বলেন, ‘আমার ভাগ্নে-ভাগ্নিরা বাবাহারা আর বোনটি এখন বিধবা হয়ে গেল। ওদের কান্না আর সহ্য করতে পারছি না।’

কামালের তিন সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে সামিউল ইসলাম (১৩)। সে ঝালকাঠি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। এর পরের ছেলেটির বয়স সাত ও সব শেষ মেয়েটির বয়স পাঁচ বছর।

স্বামীকে হারিয়ে তিন সন্তান নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সাদিয়া বেগম (রানু)। তিনি বলেন, ‘আমাদের সংসার চালানোর মতো আর কেউ রইল না। বাকি দিনগুলো কীভাবে চলবে ভেবে উঠেতে পারছি না।’

প্রসঙ্গত,কামাল হোসেনের বাড়ি ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়নের বালকদিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম মুনসুর হাওলাদার। গত সোমবার সকালে সদর উপজেলার আগরবাড়ি এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে কামাল হোসেনকে দাফন সম্পন্ন হয়। কামাল ঢাকায় চ্যানেল আইয়ের গাড়ি চালাতেন আর ঝালকাঠি শহরে বাসা ভাড়া করা বাসায় তিন সন্তান নিয়ে স্ত্রী সাদিয়া বসবাস করতেন। ঘটনার পর থেকেই সাদিয়া ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বাবার বাড়ি শহরতলীর আগরবাড়ি গ্রামে রয়েছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন