জাতীয় ডেস্ক:
বেতন বাড়ানোর দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের অবরোধের কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই সড়কে যাতায়াতকারী হাজারো যাত্রী। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
জানা যায়, বুধবার (২৫ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। কোনাবাড়ী কলেজ গেট এলাকায় শ্রমিকদের এই অবরোধ তুলে দিতে শিল্প পুলিশ ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ শুরু করে।
এ খবর কালিয়াকৈরের মৌচাক ও শফিপুর শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা দুপুর ১২টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন। এতে কোনাবাড়ী কলেজ গেট থেকে কালিয়াকৈরের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকা পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
শ্রমিকরা জানান গত তিন দিন ধরে বেতন বাড়ানোর দাবিতে বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন শ্রমিকরা। এ সময় ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা ২৩ হাজার টাকা বেতনের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে অবরোধের কারণে ওই সড়কের দুই পাশে যানবাহন আটকা পড়ে। ভোগান্তি বাড়ে যাত্রী ও পরিবহন কর্মীদের। এ অবস্থায় থানা পুলিশ, শিল্প পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে মহাসড়ক থেকে সরে যান।
পরে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সড়কটিতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
নাওজোর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, বেতন বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পুলিশের ধাওয়ায় শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানান তিনি।
এদিকে রোববার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর তোপখানা রোডে নিম্নতম মজুরি বোর্ড কার্যালয়ে সর্বনিম্ন মজুরি প্রস্তাব জমা দিয়েছে মালিক ও শ্রমিকপক্ষ। দ্রব্যমূল্য ও আর্থিক নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে সর্বনিম্ন বেতন ৮ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা দাবি করেছেন শ্রমিকরা। তবে মালিকপক্ষ ২৪০০ টাকা বাড়িয়ে সর্বনিম্ন বেতন ১০ হাজার ৪০০ টাকা দিতে চান। আগামী ১ নভেম্বরের বৈঠকে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে জানুয়ারিতে নতুন বেতন কার্যকর করতে চায় উভয়পক্ষ।
তবে ন্যুনতম ২৩ হাজার টাকা বেতনের দাবিতে গত তিন দিন ধরে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা।