জাতীয় ডেস্ক :
ঠাকুরগাঁওয়ে নদী রক্ষা বাঁধের ব্লক তৈরিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলা সদরের ঢোলারহাট ইউনিয়নের উত্তর বোয়ালিয়া এলাকায় টাংগন নদীর ভাঙন রক্ষা বাঁধ নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ব্লক তৈরি করার সময় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, মাটিযুক্ত বালু, ছোট পাথরের জায়গায় বড় পাথর, পাথরের সঙ্গে ধুলাবালিযুক্ত অবস্থায় ঢালাই ও ইটের খোয়া মিশ্রনে শ্রমিকরা একের পর এক তৈরি করছেন ব্লক। এমন অবস্থায় কাজ ভালো না হওয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসী কাজ বন্ধ করে দেন।
ব্লক নির্মাণে এর আগেও অনিয়ম ও কাজের মান খারাপ হওয়ায় বেশ কয়েকবার শামিমুর রহমান জামাল হোসেন জেভি নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের নিষেধ করেন স্থানীয়রা। তারপরও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন নিয়মের তোয়াক্কা না করেই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়েই কয়েক হাজার ব্লক তৈরি করেন। এতে ক্ষুব্ধ হন তারা। তবুও গায়ের জোরে আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের যোগসাজশে কাজ চলছে। অবিলম্বে কাজ বন্ধ রেখে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেন স্থানীয়রা। অন্যথায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি ব্লক করে বাঁধের কাজ সম্পন্ন করা হলে সরকারের কোটি কোটি টাকা ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা।
ঢোলারহাট ইউনিয়নের ওই ওয়ার্ডের সদস্য শাহাজান আলী জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যে কাজটি চলমান রেখেছে। তার মান অত্যন্ত খারাপ। তারা মনে করেছেন গ্রাম্য এলাকায় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকা লুট করবে। স্থানীয়রা সচেতন বলেই কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এছাড়া একই ঠিকাদার আরও দুটি স্থানে ব্লক তৈরির কাজ পেয়েছে। ব্যবস্থা না নিলে সেখান থেকেও সরকারের অর্থ লুট করবে।
সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার জামাল হোসেন অনিয়মের কথা স্বীকার করে বলেন, শ্রমিকরা এসব করেছেন। তারা ভালোভাবে পাথরে পানি ব্যবহার করেননি। তবে বিষয়টি নজরে আসার পর কাজ ভালোভাবে করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম ঠিকাদারের পক্ষে সাফাই গেয়ে জানান, স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করে দেয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রতিনিধি পাঠানো হয়। অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
৮ কোটি ৩১ লাখ ৯১ হাজার টাকায় চলতি অর্থ বছরে একটি প্যাকেজের তিনটি স্থানের কাজ পায় ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যা জুন মাস থেকে দুটিস্থানে কাজ চলমান রেখেছে।