খেলাধূলা ডেস্ক :
কদিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডেতে ইতিহাস হয়েছে। আর তাই প্রত্যাশা বাড়ছিল টেস্ট সিরিজ ঘিরে। দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা খেলোয়াড়রা আইপিএলে ব্যস্ত থাকায় বড় ‘মওকা’ হিসেবেই দেখা হচ্ছিল দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজকে। কিন্তু প্রথম তথা ডারবান টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের স্কোর গড়ে লজ্জার মুখে পড়ল মুমিনুল বাহিনী।
স্বাগতিকদের দেওয়া ১৭৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৮ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। এরপরই শঙ্কা জেগেছিল নিজেদের আগের সর্বনিম্ন স্কোর ৪৩ রানের আগেই অলআউট হওয়ার। কিন্তু দিনের খেলা শেষ হওয়ায় অপেক্ষা বাড়ে। তবে পঞ্চম দিনে খেলতে নেমে মাত্র ৫৫ মিনিট টিকল বাংলাদেশের ইনিংস। ওভারের হিসেবে যা মাত্র ১১ ওভার।
সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে মিরাজের বিদায়ের সময় বাংলাদেশের রান ছিল ৩৩, সে সময়ে টাইগার ক্রিকেটের সবচেয়ে আশাবাদী সমর্থকও হয়তো জয় কিংবা ড্র নিয়ে ভাবেননি। সবার ভাবনা তখন সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড নিয়ে। সাদা পোশাকে বাংলাদেশ সবচেয়ে কম ৪৩ রানে অলআউট হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ডারবানে আজ শঙ্কা ছিল সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় পড়ার।
তবে এমন সময়ে বোলার তাসকিনের ছক্কায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে। কারণ তার এই ছক্কার সুবাদে বাংলাদেশের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ৪২ এ। তারপর এক সিঙ্গেলে লজ্জার সেই ৪৩ পার। তবে সর্বনিম্ন রানের লজ্জা ঢাকতে পারলেও দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড হয়েছে এদিন। যেটা আবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে নিজেদের সর্বনিম্ন রান। আগেরটি ২০১৭ সালে পচেফস্ট্রুফে, সেবার ৯০ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ।
প্রোটিয়া দুই স্পিনার কেশভ মহারাজ একাই সাত এবং শিমন হার্মার বাকি তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে টাইগার ব্যাটিং অর্ডার ধসিয়ে দেন।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন ছয় ইনিংস
২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৩
২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫৩
২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬২
২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮৬
২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৭
২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮৭