নিউজ ডেস্ক:
সারা দেশে টাইফয়েড টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ১ সেপ্টেম্বর থেকে, যা পরিচালিত হবে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (EPI)-এর আওতায়। এবার ৯ মাস থেকে ১৫ বছর ১১ মাস ২৯ দিন বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশু এক ডোজ ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা পাবে।
এরই মধ্যে ১ আগস্ট থেকে টিকা গ্রহণের জন্য অনলাইন নিবন্ধন শুরু হয়েছে, যা চলবে টিকাদান শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত।
সোমবার (১১ আগস্ট) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইপিআই প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান।
তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরের প্রথম ১০ কর্মদিবসে স্কুলে ক্যাম্প স্থাপন করে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। এরপর, যেসব শিশু ক্যাম্পে উপস্থিত হতে পারবে না কিংবা স্কুলে যায় না—তাদের জন্য পরবর্তী ৮ দিন স্থানীয় ইপিআই কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেওয়ার সুযোগ থাকবে।
ডা. আবুল ফজল আরও জানান, জন্ম নিবন্ধন সনদ না থাকলেও শিশুরা টিকা নিতে পারবে। এই ক্ষেত্রে বাবা–মায়ের মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করা যাবে, এবং হাতে লিখে টিকা নেওয়ার তথ্য দেওয়া হবে।
ভ্যাকসিনটি সরবরাহ করছে গ্যাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স, যা এক ডোজেই ৩ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা প্রদান করতে সক্ষম।
অনলাইন নিবন্ধনের জন্য https://vaxepi.gov.bd/registration এই সাইটে গিয়ে জন্ম নিবন্ধন নম্বর বা মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে নিবন্ধন করা যাবে। জন্ম নিবন্ধন থাকলে ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোডও করা যাবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানায়, টাইফয়েড জ্বর স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়াজনিত একটি সংক্রমণ, যা দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে ছড়ায়। উপসর্গের মধ্যে থাকে—দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, ক্ষুধামন্দা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া। প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণ অস্পষ্ট থাকায় অনেক সময় টাইফয়েড শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে।