খেলার সংলাপ :
কানায় কানায় পূর্ণ মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। লক্ষ্য লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের জয়ের আনন্দ ভাগ করে নেয়া। আর কাঙ্ক্ষিত ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হওয়া। জয় পেলেই যে নতুন এক ইতিহাস তৈরি করবে বাংলাদেশ, সেটি ঘরের মানুষ অনেক আগেই জানেন।
রোববার (১২ মার্চ) বিকেল ৩টায় মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। ম্যাচটিতে জয় পেলেই ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে সাকিব আল হাসানের দল।
দীর্ঘ প্রায় সাত বছর পরে বাংলাদেশে এসেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। আর বাংলাদেশের এই প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ হচ্ছে ইংলিশদের বিপক্ষে। তিন ম্যাচের প্রথমটিতে চট্টগ্রামের মাটিতে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে লাল-সবুজের দল। এবার মিরপুরে অপেক্ষা সিরিজ জয়ের। ম্যাচটিকে ঘিরে উল্লাসে ভাসছে পুরো স্টেডিয়াম।
চট্টগ্রাম থেকে জুলফিকার আলী সপরিবারে এসেছেন বাংলাদেশের জয় দেখতে। তিনি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচটি আমাদের ওখানে হয়েছে। আমরা সেই খেলাটি দেখেছি। তাতে আত্মবিশ্বাস পেয়েছি মিরপুরেও জয় পাবে সাকিবরা। এজন্য পরিবার নিয়ে হাজির হয়েছে এখানে। আশা করি প্রথম সাক্ষাতেই সিরিজটি আমাদের হবে।’
খুলনা থেকে আবু জাফর সারারাত না ঘুমিয়ে টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন। সময় সংবাদকে তিনি জানান, ‘আমি একটি টিকিটের জন্য দীর্ঘক্ষণ লাইনে অপেক্ষা করেছি। তবে টিকিট পেয়ে আমি খুশি। অন্তত টাইগারদের আওয়াজ শুনতে পাবো। আজ ম্যাচ আমরা জিতব, এটা আমাদের বিশ্বাস। বাংলাদেশ যেভাবে প্রথম ম্যাচ খেলেছে, সেভাবে খেলতে পারলে আমাদের জয় নিশ্চিত।’
এ দিকে গ্যালারি ঘুরে দেখা যায়, কোথাও তিল ধারণের জায়গা নেই। ভিআইপি স্ট্যান্ডের কয়েকটি আসন খালি থাকলেও কানায় কানায় পূর্ণ হয়েছে অন্যসব আসন। অন্যদিকে এই ম্যাচটিতে টিকিট না পেয়ে ফিরে যেতে হয়েছে অসংখ্য ক্রিকেট ভক্তদের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের খেলা দেখার জন্য এসেছিলাম। কিন্তু এত মানুষের ভীড়ে টিকিট কিনতে পারিনি। খেলা দেখতে আসা বেশিরভাগ দর্শক ফিরে গেছেন খালি হাতে। তবুও দুঃখ করছি না, আমরা চাই বাংলাদেশ জিতুক।’
এ ম্যাচ জিতলে ইংলিশদের বিপক্ষে যে কোনো সংস্করণে প্রথম সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে বাংলাদেশ। এর আগে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা।