হোম ফিচার ঝিকরগাছা ও চৌগাছার ২২ টি সহ সারাদেশের ৮৪৮টি ইউপিতে ভোট ১১ নভেম্বর

তাজমুল, ঝিকরগাছা :

সারা দেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের অংশ হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের তফসিলে ৮৪৮টি ইউপিতে আগামী ১১ নভেম্বর ভোট গ্রহণ করা হবে। তার মধ্যে যশোরের ঝিকরগাছা ও চৌগাছার ২২ টি ইউনিয়ন রয়েছে।

গতকাল ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ১৭ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২০ অক্টোবর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৬ অক্টোবর ও প্রতীক বরাদ্দ ২৭ অক্টোবর। এই দফায় মাত্র ২০টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে। ইউপি নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে সমাপ্ত করে আগামী জানুয়ারিতে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে ইসি।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কমিশন সভাশেষে গতকাল নির্বাচন ভবনে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, তফসিল অনুযায়ী বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর। আর আপিলের নিষ্পত্তি ২৪ ও ২৫ অক্টোবর। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আমরা কাজ করছি। আগামী সপ্তাহে কমিশনের পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিলের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

সিরাজগঞ্জ-৪ উপনির্বাচন : সচিব জানান, একাদশ জাতীয় সংসদের সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের উপনির্বাচন এবং ১০টি পৌরসভার নির্বাচনের ভোট হবে আগামী ২ নভেম্বর। তফসিল অনুযায়ী, এই নির্বাচনগুলোতে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন ৯ অক্টোবর পর্যন্ত। বাছাই হবে ১১ অক্টোবর। আপিলের সুযোগ ১২ থেকে ১৪ অক্টোবর। ১৬ অক্টোবর আপিল নিষ্পত্তি শেষে মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে। তিনি জানান, আগামী ১৮ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দ। আর ভোট হবে ইভিএমে।

জানুয়ারিতে জেলা পরিষদ নির্বাচন : ইসি সচিব জানান, আগামী জানুয়ারির দিকে জেলা পরিষদ নির্বাচন করা হবে। ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের পার্বত্য তিন জেলা বাদে ৬১টি জেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচন হয়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে গত মঙ্গলবারই আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পেয়েছি। তবে আপনারা জানেন ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় পরিষদের জনপ্রতিনিধিরাই জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার। ফলে এই ভোটগুলো শেষ না হওয়া পর্যন্ত জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে গেলে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হবে। সে কারণে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেই জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জানুয়ারি মাসে এর ভোট অনুষ্ঠানের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন