বিনোদন ডেস্ক :
সুকেশ চন্দ্রশেখর সম্পর্কিত আর্থিক জালিয়াতির মামলায় অভিযুক্ত বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজও। এ মামলায় পুরোপুরি মুক্তি না পেলেও জামিনে আছেন এই অভিনেত্রী। জামিনে মুক্তি পেলেও আদালত থেকে তাকে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা। যার মধ্যে রয়েছে দেশ ত্যাগ না করার কথাও।
তবে অসুস্থ মাকে দেখতে বাহরিন যেতে চান জ্যাকলিন। এমন আবেদন নিয়ে বিচারকের কাছে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। যদিও আদালতের তরফে বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) উপদেশ দেওয়া হয় এ মামলা আপতত ‘সংবেদশীল’ পর্যায়ে রয়েছে। সম্ভব হলে জ্যাকলিনের উচিত বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা ত্যাগ করা।
এদিন আদালতে শুনানি চলাকালীন জ্যাকলিনের আইনজীবী আদালতকে জানান, অভিনেত্রীর মা ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ব্রেন স্ট্রোকের শিকার হন, তারপর থেকেই গুরুতর অসুস্থ তিনি। মানবিকতার খাতিরে জ্যাকলিনের আবেদন মঞ্জুরের কথাও বলা হয়।
এ নিয়ে আদালত পালটা প্রশ্ন করেন, কীভাবে জ্যাকলিন ওই দেশে যাওয়ার ভিসা পাবেন। জবাবে অভিনেত্রীর আইনজীবী জানান, ‘ওনার বাবা-মা ওই দেশেই থাকে। আগে থেকেই জ্যাকলিনের কাছে বাহরিনের ভিসা রয়েছে।’ এরপর আদালত জ্যাকলিনের বিদেশযাত্রায় ‘আপত্তি’ তুলে বলে এ মুহূর্তে সুকেশ মামলা খুব গুরুত্বপূর্ণ ধাপে রয়েছে, শুনানি চলাকালীন জ্যাকলিনের উপস্থিতি জরুরি।
আদালত জানায়, ‘আমি বুঝতে পারছি বিষয়টা খুবই আবেগমথিত ব্যাপার, তবে এই মুহূর্তে এ মামলা খুব জরুরি পর্যায়ে রয়েছে’। অভিনেত্রীর আইনজীবীরা এও জানায়, মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ জানুয়ারি। জ্যাকলিন যেকোনো মূল্য ৫ জানুয়ারির মধ্যে ভারতে ফিরে আসবেন। পাশাপাশি জ্যাকলিন এই মামলার ১০ নম্বর অভিযুক্ত। ৬ জানুয়ারি সুকেশ চন্দ্রশেখরকে কাঠগড়ায় তোলা হবে, জ্যাকলিনের নম্বর আসতে সময় লাগবে। তাতেও মন গলেনি আদালতের। সবশেষে আদালত জ্যাকলিনের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি আপনার উপর ছেড়ে দিচ্ছি আপনি এই আবেদন প্রত্যাহার করতে চান, নাকি এই নিয়ে বিচার বিভাগের রায় শুনতে চান?’ এমনটা জেনে জ্যাকলিন নিজের আবেদন প্রত্যাহার করে নেন।
অন্যদিকে ইডির তরফেও জ্যাকলিনের এই আবেদনের বিরোধিতা করা হয়। তাঁরা স্পষ্ট জানায়, জ্যাকলিন বিদেশি নাগরিক। একবার দেশ ছাড়লে তাঁকে ফেরানো কঠিন হতে পারে এমনটাও জানায় ইডি। জন্মসূত্রে জ্যাকলিনের বাবা-মা শ্রীলঙ্কান। তবে জ্যাকনিলের জন্ম ও বড় হওয়ার বাহরিনে।