রাজনীতি ডেস্ক:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলে ভূমিকা রাখবে জাতীয় পার্টি। দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে বিরোধী দলের উপনেতার স্বীকৃতি দিয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে।
এরইমধ্যে বিরোধী দলের নেতা ও উপনেতার প্রজ্ঞাপন বাতিল চেয়ে স্পিকার ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ এ নোটিশ পাঠান।
আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ জানান, জাতীয় পার্টির ১১ জন সংসদ সদস্য। কোন আইন ও কর্তৃত্বের বলে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় বেতন-ভাতা দিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা ও উপনেতা নিয়োগ দিলেন, তা জানতে চাওয়া হয়েছে নোটিশে।
নোটিশে বলা হয়, এই নিয়োগের ফলে সরকারের গাড়ি-বাড়ি ও অর্থের অপচয় হয়। জাতীয় পার্টি ১০ শতাংশ আসন লাভ করেনি। ৩০০ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ৩০টি আসনে সংসদ সদস্য (এমপি) থাকলে বিরোধী দলের নেতা হবেন, এমন আইন থাকা অতি জরুরি।
‘কতজন সংসদ সদস্য থাকলে বিরোধীদলীয় নেতা হতে পারবে, সে বিষয়ে সংসদে আইন করতে হবে। আইন না করা পর্যন্ত সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার পদ ভারতের মতো খালি থাকবে। এ ধরনের নেতা ও উপনেতা স্পিকার কোন আইনে বা কোন ক্ষমতাবলে নিয়োগ দিতে পারেন সেটাও আইন ও সংবিধানে নেই।’
তাই নোটিশ পাওয়ার পর বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচন করে জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিলের উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায়, এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে জানানো হয়েছে।