হোম অর্থ ও বাণিজ্য জাহাজ ভাঙা শিল্পে আইএমওর সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ

জাহাজ ভাঙা শিল্পে আইএমওর সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 35 ভিউজ

বাণিজ্য ডেস্ক:

জাহাজ ভাঙা বা পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থার (আইএমও) সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) সেক্রেটারি জেনারেল আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সাক্ষাৎকারে এ আহ্বান জানান।

সাক্ষাৎকার শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে শিল্পমন্ত্রী বলেন, হংকং কনভেনশন প্রতিপালন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পের টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ অত্যন্ত আন্তরিক এবং আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থার (আইএমও) সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন। আইএমও মহাসচিবের বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে এতে গতি সঞ্চার হবে বলে আশা করা যায়।

মন্ত্রী বলেন, জীবনের শেষ সীমায় পৌঁছানো জাহাজের নিরাপদ এবং পরিবেশসম্মত উপায়ে পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ গত বছর ২৫ জুন হংকং কনভেনশন অনুসমর্থন করে। সে হিসাবে ২০২৫ সালের ২৬ জুনের মধ্যে বাংলাদেশকে কনভেনশন প্রতিপালন করতে হবে এবং সব ইয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশের এ সম্ভাবনাময় শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ গ্রহণসহ করণীয় দিকগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে বলে জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী হংকং কনভেনশন প্রতিপালনে শিপ ইয়ার্ড মালিকদের জন্য উন্নয়ন সহযোগী বা আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থার কাছ থেকে সফট লোন পেতে আইএমওর সহযোগিতা কামনা করেন। তা ছাড়া জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পের টেকসই উন্নয়নে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনেও আন্তর্জাতিক সংস্থাটির সহায়তা চান।

সাক্ষাৎকালে আইএমও মহাসচিব বলেন, জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পের টেকসই উন্নয়নে আইএমও প্রবর্তিত হংকং কনভেনশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে এ শিল্পের টেকসই, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়নে সংস্থাটি সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এ শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে কাজ করছে দেখে আইএমও সন্তুষ্ট। এ শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে আইএমওর পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

মহাসচিব এ সময় বাংলাদেশ সরকার ও আইএমওর সহযোগিতায় বাংলাদেশের জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ ও নির্মাণ শিল্প আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সাক্ষাৎকালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম আলম, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিম, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরক্ত সচিব হেলাল উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ১৯৮০ সাল থেকে জাহাজ রিসাইক্লিং করে আসছে। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় শতাধিক শিপ সাইক্লিং ইয়ার্ড রয়েছে। উল্লিখিত ইয়ার্ডগুলোর মধ্যে বর্তমানে ৫০টি চালু রয়েছে। দেশের সামগ্রিক লোহার চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশ আসে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্প থেকে। প্রায় ২ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ খাতের ওপর নির্ভরশীল।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন