আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইউরোপ সফরে যাচ্ছেন। ইউরোপ সফরের সময় জার্মানি, ডেনমার্ক ও ফ্রান্স সফরে যাবেন তিনি। খবর ডয়চে ভেলে।
আগামী ২ মে ইউরোপ সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সফরের প্রথমেই তিনি বার্লিন যাবেন। শলৎস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথমবার মোদি জার্মানি যাচ্ছেন। দুই নেতাই ভারত-জার্মানি ইন্টার-গভর্নমেন্টাল কনলাসটেশনে (আজিসি) অংশ নেবেন। জার্মানি ও ভারতের বেশকিছু মন্ত্রী এ বৈঠকে থাকবেন। মোদি ও শলৎস একটি বাণিজ্যিক সম্মেলনেও ভাষণ দেবেন। ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো বিদেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
জার্মানিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সঙ্গে আলোচনাসভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। ২০২১ সালে ভারত ও জার্মানির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্ণ হয়েছে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক পরিকল্পনার ক্ষেত্রে ২০০০ সাল থেকে একসঙ্গে কাজ করছে এই দেশ দুটি। ফলে মোদির এই সফর ইউরোপের বর্তমান পরিস্থিতির বিচারে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা। এই সফর ভারত ও জার্মানির মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।
জার্মানি সফর শেষে মোদি যাবেন ডেনমার্কে। সেখানে তিনি ভারত নরডিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। সেখানে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফেড্রিকসেন মোদিকে সরকারিভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সরকারি এই সফরে ড্যানিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে মোদির। সেই সঙ্গে রানি দ্বিতীয় ম্যাকগ্রেথের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই শীর্ষ সম্মেলনে ডেনমার্ক ছাড়াও আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেনের সরকারপ্রধানরা থাকবেন।
এর পর ৪ মে দেশে ফেরার পথে মোদি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ফ্রান্সে যাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। রাজধানী প্যারিসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদি। মাক্রোঁর সঙ্গে মোদির আলোচনা বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে দুই দেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চায়।
এ বৈঠকে অন্যান্য আলোচনার সঙ্গে প্রাধান্য পাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যদিও ভারত সুবিধাজনক অবস্থান বেছে নিয়েছে। তারা রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি করছে। তবে সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন ভারতে এসে বুঝিয়ে দিয়ে গিয়েছেন, ইইউ চায় ভারত রাশিয়াবিরোধী অবস্থান নিক। যুক্তরাষ্ট্রও তাই চাইছে। তবে ভারত এখনো পর্যন্ত রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছেন, ভারত নিজেদের পথে চলবে। ইউরোপের নেতাদের এবার মোদি কি বলেন, সেটাই দেখার বিষয়।