হোম রাজনীতি জামায়াত যা করতে পারে না তা এনসিপির মাধ্যমে করায়: রাশেদ খাঁন

জামায়াত যা করতে পারে না তা এনসিপির মাধ্যমে করায়: রাশেদ খাঁন

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 40 ভিউজ

নিউজ ডেস্ক:
জামায়াতে ইসলামী যা করতে পারে না, তা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-কে দিয়ে করায়। অর্থাৎ এনসিপির মধ্যে জামায়াত-শিবিরের যে নিয়োগ রয়েছে, তারা নাহিদ ইসলামদের উপর প্রভাব বিস্তার করে- এমন মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।

রাশেদ খাঁন লিখেন, ‘জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদের পক্ষে ভোট একসঙ্গে নেওয়া সম্ভব-হ্যাঁ, কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট নেওয়া উচিত নয়।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবনার সময় বিশেষজ্ঞরা একমত হয়েছিলেন যে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট করা যেতে পারে উল্লেখ করে তিনি লিখেন, ‘তখন শুধুমাত্র জামায়াত বাদে সকল দল একমত হয়। এমনকি এনসিপিও এটার পক্ষে অবস্থান নেয়। কিন্তু পরেদিন এনসিপি তার অবস্থান পরিবর্তন করে।’

এনসিপি ও জামায়াতের মধ্যে একটি বোঝাপড়া রয়েছে, যা এনসিপি গোপন রাখতে চায় বলে দাবি করেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। তিনি লিখেন, ‘দুই দল যে আলাদা আলাদা অবস্থানে এবং নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক নাই, এটি বোঝাতে এনসিপি জামায়াতের বিরুদ্ধে পিআর ইস্যুতে সমালোচনায় লিপ্ত হয়। কিছুদিন আগে, একটা অনুষ্ঠানে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আমাকে প্রশ্ন করে জামায়াত-এনসিপির সম্পর্কে ফাটল ধরলো, এটা কি আর্টিফিশিয়াল না সিরিয়াস? মূলত এনসিপির যেসকল নেতারা জামায়াত শিবির বিরোধী বক্তব্য দেয়, এটা বোঝাপড়ার ভিত্তিতেই। এটা রাজনৈতিক কৌশল।’

জামায়াত যা করতে পারে না, তা এনসিপিকে দিয়ে করায় উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘এনসিপির মধ্যে জামায়াত-শিবিরের যে নিয়োগ রয়েছে, তারা নাহিদ ইসলামদের উপর প্রভাব বিস্তার করে। এ বিষয়ে আমার পূর্বের একটি লেখা ছিলো জামায়াত শিবিরের নিয়োগ পলিসির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি’।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পূর্ববর্তী মন্তব্য থেকে বোঝা গিয়েছিল, ‘নতুন করে আরেকটি মওদুদীবাদি প্রক্সি দলের কোনো দরকার নেই!’

এনসিপি বুঝে না বুঝে আরেকটি মওদুদীবাদি প্রক্সি দল হয়ে উঠছে। এতে তাদের নিজস্ব কোন পলিটিক্স তৈরি হচ্ছে না। তাই ক্ষোভ থেকে মাহফুজ আলম এই পোস্ট করেছিলেন বলে অভিযোগ করেন রাশেদ খাঁন।

সরকারের সমালোচনা করে রাশেদ খান বলেন, ‘১৪ মাসে সরকার তার ফিটনেস তৈরি করতে পারে নাই। হাতে সময় আছে মাত্র ৪ মাস। এই চার মাসে দুটো নির্বাচন করার মতো সক্ষমতা সরকারের আছে? বরং নভেম্বর গণভোটের প্রসঙ্গ এনে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। যার মাধ্যমে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগই উপকৃত হবে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘ঐকমত্য কমিশন যেহেতু নোট অব ডিসেন্ট বাদেই সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে, এক্ষেত্রে ৯ মাস রাষ্ট্রের অর্থ কেন অপচয় করা হলো? বরং ৮৪টি বিষয়ে ৯ মাস আগেই গণভোট নিতে পারতো না।’

রাশেদ খাঁন সতর্ক করে বলেন,‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ঐক্যমত কমিশন জামায়াত ও এনসিপি বাদে সব দলের সঙ্গেই প্রতারণা করেছে। দেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে, আরেকটি ১/১১ অনিবার্য করা হচ্ছে!’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন