হোম অন্যান্যসারাদেশ জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জন্য একটি গর্বের বিষয়, প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য

জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জন্য একটি গর্বের বিষয়, প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য

কর্তৃক
০ মন্তব্য 81 ভিউজ

রিপন হোসেন সাজু, মণিরামপুর:
জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জন্য আশির্বাদ স্বরূপ। তার নেতৃত্বে ধারাবাহিক সংগ্রাম সর্বোপরি ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত আমরা একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে বসবাস করতে পারছি। অবশ্যই এটা আমাদের জন্য একটি গর্বের বিষয়।

স্বাধীনতা উত্তর বঙ্গবন্ধু স্বল্প সময়ে দেশব্যাপি যে উন্নয়নের ছোয়া সূচনা করেছিলেন-তার সুযোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের সার্বিক উন্নয়নের সাথে-সাথে গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নে গ্রামীণ জনপদ, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণে ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছেন।

উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় মণিরামপুরের সদর ইউনিয়নের জালঝাড়া-খর্দ্দগাংড়া ভায়া বৌ-বাজার রাস্তাটি পাকাকরণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে।মণিরামপুর সদর ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধা ডা. নওশের আলী নামে নব নির্মিত রাস্তার পাকাকরণ পরবর্তী জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্তকরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য (এমপি)।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে জালঝাড়া-খর্দ্দগাংড়া ভায়া বৌ-বাজার এলাকায় ৩ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২.৩৭০ কিলোমিটার এ রাস্তা মঙ্গলবার উন্মুক্ত করেন তিনি।

সকালে এ উপলক্ষে সদর ইউনিয়নের খালকান্দা বাজারে আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন মণিরামপুর সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান।

এসময় প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য আরও বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে প্রায় পঞ্চাশ বছর। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনা করার সুযোগ চলতি মেয়াদ ধরে মাত্র ২০ বছর। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশ পরিচালিত হয়েছে ৩৫ বছর। বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা এই ২০ বছরে দেশের যে উন্নয়ন করেছেন-বাদবাকী ৩৫ বছরে তার বিন্দু পরিমাণও উন্নয়ন হয়নি।

তিনি বলেন, বাঙালি জাতি হিসেবে আমরা গর্ব করতে পারি যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষ শাসক হিসেবে দেশ পরিচালনায় বিশ্বের মধ্যে ১০ম এবং নারী শাসক হিসেবে প্রথম স্থানে অবস্থান করছেন। সুতরাং দলীয় মতের উর্ধে থেকে দলবাজী না করে জননেত্রীর এ অবদান স্বীকার করা উচিৎ।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও মণিরামপুর সরকারি কলেজের প্রভাষক ফিরোজ আহম্মেদের পরিচালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান, যশোর নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা ইফতেখার জামান, মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়েদ জাকির হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান নিস্তার ফারুক, স্থানীয় জালঝাড়া সিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদরাসার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি প্রভাষক আব্দুল গণি। সদর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক নিশাত কবির, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মাহাবুর হোসেন প্রমুখ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন