জাতীয় ডেস্ক :
ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেছেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লংঘনের যে অভিযোগ রয়েছে তার সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ও জবাবদিহিতা ছাড়া সংস্থাটির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ।
রোববার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএস) ‘বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক: বর্ধিত সহযোগিতা ও অগ্রসর অংশীদারিত্ব’ শীর্ষক এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক রুখসানা কিবরিয়া, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির, তারিক এ করিম বক্তব্য দেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আইন প্রয়োগ বিষয়ে আমি সৎভাবে বলতে চাই—আমরা এমন একটি র্যাব চাই, যারা সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে যেমন কঠোর থাকবে তেমনি কঠোর থাকবে মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান বজায় রাখতে।
গত বছরের ডিসেম্বরে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এই বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে আসছে বাংলাদেশ সরকার।
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা উভয় দেশের নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না মন্তব্য করে রাষ্ট্রদূত বলেন, র্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মানে এই নয় যে, আমরা জোরদার আইন প্রয়োগ বিষয়ে শক্তিশালী নিরাপত্তা সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারব না।
এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের দমন, সীমান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্র নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাবে বলেও জানান তিনি।