হোম অন্যান্যসারাদেশ ছয় মণ ধাতব মুদ্রার বিনিময়ে সবজি বিক্রেতা পেলেন এক লাখ টাকা

ছয় মণ ধাতব মুদ্রার বিনিময়ে সবজি বিক্রেতা পেলেন এক লাখ টাকা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 87 ভিউজ

মাগুরা অফিস :

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের বিপাকে পড়া ক্ষুদ্র সবজি ব্যবসায়ী খাইরুল ইসলাম খবিরের (৪৫) প্রায় ছয় মণ ওজনের ৫৬ হাজার টাকার ধাতব মুদ্রা (কয়েন) কিনে নিলেন ঢাকার এক ওষুধ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়ামুল কবির টিপু। বুধবার বিকেলে উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাড়িতে গিয়ে নিয়ামুল করিম টিপু নগদ এক লাখ টাকায় ৫৬ হাজার টাকা মূল্যের ধাতব মুদ্রা (কয়েন) কিনে নেন।
এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মহম্মদপুর সদর সোনালী ব্যাংক শাখা তার একাউন্টে প্রতিদিন দিন এক হাজার টাকা জমা নেওয়া শুরু করেন। চার হাজার টাকা জমা দেন তিনি।
খবির ১০ বছর ধরে ২৫ পয়সা, ৫০ পয়সা, ১ টাকা ও ২ টাকার প্রায় ৬মণ ওজনের ৬০ হাজার টাকার ধাতব মুদ্রা জমান। এই কয়েনের কার্যত লেনদেন না থাকায় তিনি বিপাকে পড়েন। ৪ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার পরও খবিরের কাছে আরও ৫৬ হাজার টাকার ধাতব মুদ্রা থেকে যায়।

গণমাধ্যমে প্রতিবেদন দেখে বুধবার বিকেলে খবিরের বাড়িতে এসে ধাতব মুদ্রাগুলো কিনে নেন ঢাকার ওষুধ ব্যবসায়ী।
এসময় খবিরের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল, ঢাকার ধানমন্ডির মিকা ফার্মা কেয়ার লিমিটিডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়ামুল করিম টিপু ও মহম্মদপুর সদরের আমিনুর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ বিপ্লব রেজা বিকো।
ঢাকার ধানমন্ডির মিকা ফার্মা কেয়ার লিমিটিডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়ামুল করিম টিপু জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন দেখে মূলত বিপাকে পড়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ির পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি কয়েনগুলো কিনে নিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, নির্দিষ্ট পরিমাণ কয়েন মাটির ব্যাংকে ঢুকিয়ে দরিদ্র শিশুদের মধ্যে বিতরণ করবেন। এতে তাদের মধ্যে সঞ্চয়ি হওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করবেন।
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল বলেন, খবিরের কয়েন আমরা ব্যাংকে জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। বিষয়টি ছিল সময় সাপেক্ষ ও ঝামেলাপূর্ণ। ধাতব মুদ্রার বিনিময়ে প্রায় দ্বিগুণ নগদ টাকা পাওয়ায় দরিদ্র ব্যবসায়ির অনেক উপকার হলো।

 

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন