হোম অন্যান্যসারাদেশ ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজকে কেউ হত্যা করেনি: পুলিশ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্মসম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীকে কেউ হত্যা করেনি। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে উল্লেখ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এদিকে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে হত্যা মামলার সব আসামিকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।

ছয় বছর পর বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুস সালাম মিয়া জেলা পুলিশের প্রসিকিউশন শাখায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

জেলা পুলিশের পরিদর্শক জাকের হোসাইন মাহমুদ বলেন, ভিকটিমকে হত্যার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ কারণে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। দিয়াজ ইরফান চৌধুরী ‘আত্মহত্যা’ করেছে বলে প্রমাণ পাওয়ার বিষয়টি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। 

২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ ক্যাম্পাসে নিজ বাসা থেকে দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে হাটহাজারী থানা পুলিশ। দিয়াজ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক ছিলেন। শুরু থেকেই দিয়াজের পরিবার ও চবি ছাত্রলীগের একাংশ দাবি করে আসছিল, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের পরদিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে প্রথম ময়নাতদন্ত হয়। প্রতিবেদনে তাকে হত্যার আলামত মেলেনি বলে উল্লেখ করা হয়। ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখান করে দিয়াজের পরিবার। 

এরপর তার মা জাহেদা আমিন চৌধুরী ২০১৬ সালের ২৪ নভেম্বর ১০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, চবি ছাত্রলীগের সেই সময়ের সভাপতি আলমগীর টিপু, ছাত্রলীগ নেতা আবুল মনসুর জামশেদ, তাদের অনুসারী রাশেদুল আলম জিশান, আবু তোরাব পরশ, মনসুর আলম, আবদুল মালেক, মিজানুর রহমান, আরিফুল হক অপু ও মোহাম্মদ আরমান। অভিযুক্ত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

২০১৬ সালের ১০ ডিসেম্বর মরদেহ তুলে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ। ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দিয়াজের শরীরে শ্বাসরোধ ও আঘাতজনিত জখমের মাধ্যমে হত্যার আলামত আছে’।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন