শিক্ষা ডেস্ক:
জামালপুরে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ ভর্তির সময়সীমা শেষ হওয়ার পর একজন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করাতে গেলে ভর্তি না নেয়ায় কলেজের হিসাব রক্ষক মো. হেলাল উদ্দিনকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ দুজনের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের কম্পিউটার কক্ষে ঘটে এ মারামারির ঘটনা। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
মারধরের শিকার কলেজের হিসাবরক্ষক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শামীম আহম্মেদ টিসিতে ভর্তি নিতে এক শিক্ষার্থীর নাম তালিকায় লিখতে বলেন। অধ্যক্ষের অনুমতি না থাকায় তালিকায় নাম তোলা হয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি। এরপর উপাধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। এ সময় তার সঙ্গে নাদিম হাসানসহ আরও চারজন ছিল। একপর্যায়ে তারা আমাকে টেনেহিঁচড়ে অটোরিকশায় তুলে মারধর করতে করতে পৌর গোরস্থানে নিয়ে যান। এ সময় আশপাশের লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে।’
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হারুণ অর রশীদ বলেন, ‘সরকারি দায়িত্ব পালনকালে হেলালকে তারা মারধর করে। এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। একপর্যায়ে টেনেহিঁচড়ে হেলালকে ওই কক্ষ থেকে বের করা হয়। কলেজ থেকে অটোরিকশায় উঠিয়ে মারধর করতে করতে পৌর কবরস্থানে নিয়ে যায়। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কলেজের হিসাব রক্ষক হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় একটি মামলা করেছেন।’
জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবিরুল ইসলাম বাবু বলেন, এ ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ একটি অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুজনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছি। তদন্ত চলছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরবর্তীতে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে সুপারিশ করা হবে।’