হোম অন্যান্যসারাদেশ চোখটা তুলে ফেলতে হলো সংখ্যালঘু ব্যাক্তির

চোখটা তুলে ফেলতে হলো সংখ্যালঘু ব্যাক্তির

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 91 ভিউজ
 কিশোরগঞ্জ অফিসঃ
অবশেষে মারাত্বক যখম হওয়া সংখ্যালঘু এক ব্যাক্তির চোখ তুলে ফেলতে বাধ্য হল ডাক্তার। নতুন ঘরে বিদ্যুতের ওয়ারিং কাজ করতে না দেওয়ায় সংখ্যালঘু এক ব্যাক্তির চোখ লোহার শিক দিয়ে মারাত্বকভাবে যখম করা হয়। এ ঘটনা নিয়ে ৪ অক্টোবর যখমীর ছোট ভাই থানায় একটি অভিযোগপত্র  দাখিল করেন।
জানা যায়, কুলিয়ারচর উপজেলার কাপাসাটিয়া গ্রামে ঘরে বিদ্যুতের ওয়ারিংয়ের কাজ অন্য কাউকে নয় ইলেকট্রিক কর্মী অন্তর (২২) কে দিয়ে করাতে হবে বলে মাস খানিক আগে লোকজন নিয়ে অন্তর চাপ প্রয়োগ করে ভোলানাথ (৬৫) কে। ভোলানাথ বিদ্যুতের ওয়ারিং এর কাজ তার ভাতিজাকে দিয়ে করাবে বলে জানায়। এর ১৫ দিন পর এক রাতে অন্তর, তারেক, মনির, আলমগীর এসে ভোলানাথের ভাতিজাকে বিদ্যুতের কাজ না করার জন্য শাসিয়ে নানা প্রকার হুমকী ধমকী দিয়ে যায়। ৩ অক্টোবর সকাল ৯ টায় অন্তর ও তার লোকজন ভোলানাথদের বাড়িতে গিয়ে সবাইকে শাসালে ভোলানাথ ও তার ভাইয়েরা স্থানীয় মেম্বার লিয়াকত এর কাছে বিচার নিয়ে যাওয়ার পথে অন্তর, আলমগীর, আলমগীরের মা ও অনান্য লোকজন পথ রোধ করে মারধর করে।
এক পর্যায়ে অন্তর লোহার শিক দিয়ে ভোলানাথকে চোখে আঘাত করে। ভোলানাথ মাটিতে লুটিয়ে পরলে স্বজনরা চিকিৎসার জন্য ভোলানাথকে প্রথমে ভাগলপুর হাসপাতাল, পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও সর্বশেষ শ্যামলী জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়। চোখে মারাত্বক যখম হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসক তার চোখ তুলে ফেলতে বাধ্য হয়।
এ ঘটনায়  ভোলানাথের স্বজনরা কতৃপক্ষের কাছে সু-বিচার কামনা করছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন