মোংলা প্রতিনিধি :
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবজি ও লাগামহীন দূর্ণীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। এমনকি দলীয় নেতা-কর্মি থেকে শুরু করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোরও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। রাজাকার পরিবারের সন্তান হয়েও বিগত ইউপি নির্বাচনে খোলস পাল্টে বনে যান নব্য আ’লীগ। বাগিয়ে নেন দলীয় মনোনয়নও।
আর তাতেই কপাল খুলে যায় ১২ নং জিউধারা ইউনিয়নের মেম্বার বাদশার। এরপর দলীয় মনোনয়নে চেয়ারম্যান হয়েই শুরু হয় ক্ষমতার অপব্যবহার। এলাকার চিংড়ি ঘের লুট থেকে শুরু করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড! সবকিছুই করতেন তিনি সিদ্ধহস্তে। চাঁদাবাজি করতে ভুলেননি এই চেয়ারম্যান। এসব তথ্য সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া লিখিত অভিযোগে এবং স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের। শনিবার (১৩ ফেব্রæয়ারী) তার এই অপকর্মের প্রতিবাদে এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। বেলা ১২ টায় মাদ্রাসা বাজারে আয়োজিত এ মানববন্ধনে অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
এসময় বক্তরা বলেন, চেয়ারম্যান বাদশার সন্ত্রাসী, দূর্ণীতি, চাঁদাবাজি, দলীয় নেতা কর্মি ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলার প্রতিবাদ করতে এখানে জড়ো হয়েছেন। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগের বিচার না হলে কঠোর কর্মসুচির হুশিয়ারীও দেন তারা।
এসময় বক্তারা চেয়ারম্যান বাদশাকে রাজকার পরিবারের সন্তান উল্লেখ করে তার দূর্ণীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মৎস্যঘের লুটের ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের দাবি করেন। মুক্তিযোদ্ধারা এসময় আরও বলেন, বাদশা চেয়ারম্যান এক সময় ইউপি সদস্য নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে ওয়ার্ড মেম্বার নির্বাচিত হয়। এরপর থেকে দুর্ণিতীবাজ বাদশা কিছু অসাধু রাজনৈতিক নেতাকে ম্যানেজ করে জিউধারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে মানুষকে ভয়ভীতি ও তার সন্ত্রাস বাহীনি দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়।
আর এরপর থেকেই তার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিরিহ মানুষের উপর জুলুম অত্যাচার শুরু করে। ওই সব এলাকার নিরিহ মানুষদের মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘের দখল, লুটপাট ও সরকারী টাকা আতœসাতসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আলম বাদশা। চেয়ারম্যান হিসেবে তার ইউনিয়নে অসহায় দুঃস্ত গরিব মানুষদের যেখানে সহায়তা দেয়ার কথা, সেখানে তিনিতো তা করেননী উল্টো সরকারের দেয়া সহায়তাও তিনি আত্মসাৎ করেছে।
তার এ অপরাধমূলক কর্মকান্ডের ব্যাপারে বাংলাদেশ দুর্নিতীদমন কমিশনসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্ত তার পরেও বাদশা চেয়ারম্যান তার এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়েই যাচ্ছে। বাদশা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর তার হাতে তার এলাকায় বেশী নির্যাতনের শিকার হয়েছে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মিসহ সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজন।
মানববন্ধনে অভিযোগ করে এসব বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মুনসুর আহম্মেদ, সুলতান আহম্মেদ হাওলাদার ও হাবিবুর রহমানসহ আরো অনেকে। এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাদশা বলেন, “আমি এলাকার বাইরে আছি পরে কথা বলবো”।
s
