আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চেন্নাইয়ের রাস্তায় ভাসছে গাড়ি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার (৪ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এর ফলে চেন্নাই ও তার পার্শবর্তী জেলায় ভারী বন্যা দেখা দিয়েছে। জেলার নিন্মাঞ্চলের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় পানি উঠে গেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এ অঞ্চলে আগামীকাল ভূমিধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া এসব এলাকায় সুপেয় পানি বেশ দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বন্যার কারণে সৃষ্ট স্রোতের প্রভাবে সড়কের গাড়ি ভেসে যাচ্ছে। এ বন্যায় চেন্নাইয়ের বেশ কিছু এলাকা বন্যা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া ক্রোমপেট জিএসটি রোডসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ যানজট দেখা দিয়েছে। চেন্নাইয়ের উত্তরাঞ্চলের ভাদাকারাই সড়কেও বন্যার পানি উঠে গেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ৩০টিরও বেশি পার্ক করা গাড়িকে আঘাত করেছে, এটি ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছে। এর প্রভাবে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় তামিলনাড়ুতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্ধ্র প্রদেশে স্কুল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম আরও শক্তিশালী হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের স্বাক্ষর করা এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। এটি সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্ররকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।