হোম Uncategorized চরফ্যাশনে ছেলে ও পুত্রবধু কর্তৃক বাবা মাকে নির্যাতন!

চরফ্যাশনে ছেলে ও পুত্রবধু কর্তৃক বাবা মাকে নির্যাতন!

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 149 ভিউজ

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি:

চরফ্যাশনে বিদেশ ফেরত প্রবাসী ও তার স্ত্রী কর্তৃক পিতা মাতাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার হাজারিগঞ্জ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে এঘটনা ঘটে বলে যানা গেছে। স্থানিয়রা আহত পিতা আবদুল হামিদ শিকদার (৮০) ও তার  স্ত্রী লুৎফননেছা (৭০) কে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।

আহত পিতা আবদুল হামিদ শিকদার বলেন, আমার অবাধ্য ছেলে আবদুর রব ও তার স্ত্রী সাহিদা বেগম এবং নাতী রাকিব, নাতনী নাজমা বেগমসহ আরোও ৫/৭জন মিলে গত ১৮ নভেম্বর রাত ৯ টার সময় আমাকে এবং আমার স্ত্রী লুৎফননেছাকে  মারধর করে।

আবদুর রব কিছুদিন পূর্বে বিদেশ থেকে দেশে আসে। আমার বাড়িতেই আবদুর রব স্ত্রী ও সন্তানাদী নিয়ে আলাদা থাকে তারপরেও সে বাড়িতে আমার ১৬ শতাংশ জমি রয়েছে সেই জমি আবদুর রবের নামে লিখে দেয়ার জন্যেও  চাপ প্রয়োগ করে।

ওই জমি লিখে না দিলে বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার জন্যেও মারধরসহ হুমকি ধামকি দেয় । আবদুর রবের ছেলে নাজিমকে বিদেশ পাঠানোর সময়  জমি চাষের গরু বিক্রি করে এবং ঋণ করে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেই । সেই টাকা ৬ মাসের ভেতরে আবদুর রব ও  তার স্ত্রী সাহিদা বেগম দিয়ে দিবে বললেও  আর দেয়নি।

ঋণ করা টাকা পরিষোধের জন্য পুত্রবধু সাহিদাকে বললে সে তালবাহানা করে ঝগড়া বিবাদের সৃষ্টি করে এবং আমার স্ত্রী লুৎফননেছা ও আমাকে মারধর করে। ছেলে আবদুর রব দেশে আসার পরে তাকে আমাদের বিরুদ্ধে পুত্রবধু সাহিদা ক্ষিপ্ত করে তুলে এবং গত ১৮ নভেম্বর রাতে আমি বাড়ির উঠানে দাড়ানো ছিলাম হটাৎ করে তারা দেশিও অস্ত্র  দা’ সেনি ও লাঠিসোটা দিয়ে আমাকে মারধর করে।

এসময় আমার স্ত্রী ডাক চিৎকার দিলে তার হাত কামড়িয়ে দেয় সাহিদা বেগম। এছাড়াও আবদুর রব,নাজমা, ও নাজিম মিলে মারধর করলে শরিরে বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত ফোলা যখম হয়। এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে আবদুর রবকে পাওয়া যায়নি এছাড়াও তাকে একাধিকবার ফোন দিলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এঘটনায় শশিভূষণ থানার অফিসার আনিচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগীরা থানায় একটি এজহার জমা দিয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিবে।

এলাকাবাসীরা কুলাঙ্গার ছেলে আবদুর রব ও নাতী নাতনীসহ পুত্রবধু সাহিদার যথাযথ শাস্তি দাবি করেন।

 

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন