হোম জাতীয় চট্টগ্রামে বন্ধ ঘোষণার ৪ ঘণ্টা পর প্রতিমা বিসর্জন শুরু

জাতীয় ডেস্ক :

চট্টগ্রাম নগরীতে বন্ধ ঘোষণার ৪ ঘণ্টা পর প্রশাসনের আশ্বাসে আবারও প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রতিমা বিসর্জন শুরুর ঘোষণা দেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি আশিশ কুমার ভট্টাচার্য।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর প্রধান পূজামণ্ডপ জেএম সেন হলের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে নগরীর কর্ণফুলী নদীর অভয়মিত্র ঘাটে। এছাড়া নগরীর অন্যান্য পূজামণ্ডপের প্রতিমা পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের বিচে বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে চট্টগ্রাম বন্দর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার এসএম মেহেদী হাসান জানান, কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন চলছে। পুলিশ পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছে। যাতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিমা বিসর্জনে কোনো সমস্যা না হয়। রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা। পাশাপাশি বিসর্জনের সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।

এর আগে চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান পূজামণ্ডপ জেএম সেন হলসহ নানা পূজামণ্ডপে হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরীর সব প্রতিমা বিসর্জন বন্ধের ঘোষণা দেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি আশিশ কুমার ভট্টাচার্য।

শুক্রবার বিকেলে নগরীর জে এম সেন হলের সামনে এক পথ সভায় তারা এ ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে রানা দাশগুপ্ত হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাজপথে থাকতে বলেন। দোষীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তিনি।

এসময় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আশিশ কুমার ভট্টাচার্য অভিযোগ করেছিলেন পুলিশের অসতর্কতার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।

তিনি জানান, নামাজের পরে আন্দরকিল্লাহ জামে মসজিদ থেকে কিভাবে মিছিল বের হলো। এজন্য পুলিশকেই দায়ী করেন তিনি।

শুক্রবার জুমার নামাজের পর আন্দরকিল্লা জামে মসজিদ থেকে একটি দল মিছিল নিয়ে নগরীর জে এম সেন হলের দিকে আসে। এসময় উচ্ছৃঙ্খল কিছু লোক মণ্ডপের দিকে যেতে চাইলে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। এসময় পুলিশের সঙ্গে কিছুটা ধস্তাধস্তি হয়। মণ্ডপে থাকা পূজার্তিরা তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

পরিস্থিতি শান্ত করতে গুলি ছোড়া হয় এবং ৫০ জনকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন